'এত মেঘভাঙা বৃষ্টি কেন? রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত!' বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী...
মুখ্যমন্ত্রী মুলুগু জেলার ইতুরু নাগারাম অঞ্চল আকাশপথে ঘুরে দেখেন। সেখানে বন্যা-ত্রাণ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন তিনি। ভাদ্রাচলম শহরে ভারী বৃষ্টির ফলে গোদাবরী নদীর জলস্তর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় বন্যার কারণে রাজ্য সরকার কয়েক হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করেছে।
!['এত মেঘভাঙা বৃষ্টি কেন? রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত!' বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী... 'এত মেঘভাঙা বৃষ্টি কেন? রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত!' বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/07/18/382728-untitled8.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রবিবার এক বিস্ফোরক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে যে রাজ্যের গোদাবরী নদী অববাহিকা সহ দেশের কিছু অংশে ক্লাউডবার্স্টের পিছনে বিদেশী হাত থাকতে পারে।
ভদ্রাদ্রি-কোঠাগুডেম জেলার বন্যা কবলিত ভদ্রচালাম শহর পরিদর্শন করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান বন্যার হাত থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য উচু অংশে থাকার জায়গা গড়ে তুলতে এই জন্য মন্দির শহরের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ হিসাবে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
তিনি বলেন, "ক্লাউডবার্স্ট নামে একটি নতুন পদ্ধতি এসেছে। একে ঘিরে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আমরা জানি না এটি কতদূর সত্য। কিছু বিদেশী দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেশে ক্লাউডবার্স্ট করছে। এর আগে তারা লেহতে (লাদাখে) এই কাজ করেছিল। পরে, তারা উত্তরাখণ্ডে এটি করেছে। আমরা তথ্য পেয়েছি যে তারা গোদাবরী অববাহিকাতেও এই কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরণের বিপর্যয় ঘটে। তাই আমাদের জনগণকে রক্ষা করা দরকার।"
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে এই ভারী বৃষ্টি ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে। তাই, বিপদ এখনও শেষ হয়নি বলেও জানিয়েছেন রাও।
তিনি আধিকারিকদের ত্রাণ শিবির থেকে লোকেদের ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মানুষের যত্ন নেওয়ার কথা বলেন তিনি। ক্লাউডবার্স্টের বিষয় কেসিআর-এর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, তেলেঙ্গানা বিজেপির সভাপতি এবং করিমনগরের সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমার এটিকে "শতাব্দীর সেরা রসিকতা" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সঞ্জয় বলেন নিজের ব্যর্থতাগুলি ঢাকতে, কেসিআর নাটক তৈরি করছেন।
পরবর্তীকালে, মুখ্যমন্ত্রী মুলুগু জেলার ইতুরু নাগারাম অঞ্চল আকাশপথে ঘুরে দেখেন। সেখানে বন্যা-ত্রাণ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন তিনি। ভাদ্রাচলম শহরে ভারী বৃষ্টির ফলে গোদাবরী নদীর জলস্তর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় বন্যার কারণে রাজ্য সরকার কয়েক হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করেছে।
বন্যা কবলিত কিছু মানুষ শনিবার ভদ্রাচলমে বিক্ষোভ দাখিয়েছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় প্রায় সাত দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)