টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারি, তল্লাশি অভিযানে সিবিআই

টাট্রা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে আজ দিল্লি এবং নয়ডার ৩টি জায়গা অভিযান চালাল সিবিআই। সেনাবাহিনীর দুই প্রাক্তন অফিসার এবং ভেক্ট্রার এক আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের ৩টি দল। অন্যদিকে মঙ্গলবারের পর এদিনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল)-এর চেয়ারম্যান ভিআরএস নটরাজনকে জেরার জন্য তলব করেছে সিবিআই।

Updated By: Apr 18, 2012, 12:36 PM IST

টাট্রা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে আজ দিল্লি এবং নয়ডার ৩টি জায়গা অভিযান চালাল সিবিআই। সেনাবাহিনীর দুই প্রাক্তন অফিসার এবং ভেক্ট্রার এক আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের ৩টি দল।
সিবিআই সূত্রে জানান হয়েছে, সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এদিন দিল্লিতে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার পিসি দাস এবং নয়ডাতে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অনিল দত্তর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। হানা দেওয়া হয় ভেক্ট্রার উচ্চপদস্থ আধিকারিক অনিল মানসরমানির বাড়িতেও। অন্যদিকে মঙ্গলবারের পর এদিনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল)-এর চেয়ারম্যান ভিআরএস নটরাজনকে জেরার জন্য তলব করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে, ভেক্ট্রা টেয়ারম্যান রবি ঋষিকেও।
চেক প্রজাতন্ত্রের সংস্থা টাট্রা নির্মিত ট্রাকের যন্ত্রাংশ ভেক্ট্রার মাধ্যমে আমদানি করে সেগুলি জোড়া লাগিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ট্রাক সরবরাহের বরাত রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিইএমএল-এর হাতে। সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংয়ের তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বিইএমএল-প্রধান নটরাজন এবং টাট্রা`র প্রধান অংশীদার ব্রিটেনের `ভেকট্রা` সংস্থার কর্ণধার, অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি রবি ঋষিকে জেরা করেছে সিবিআই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফেও টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারিতে অবৈধভাবে টাকা হস্তান্তরের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। টাট্রা ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা `ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড` (বিইএমএল)-র মধ্যে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত মউ-এর কপি সহ যাবতীয় আর্থিক বিবরণী, রবীন্দ্র ঋষি ও বিএএমএল-এর থেকে চেয়েছে ইডি। ২০০৬ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও ২০০৩ সালেই কেন তড়িঘড়ি সেই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হল, সে ব্যাপারেও ভেকট্রা এবং বিইএমএল-এর `বাখ্যা` চাওয়া হয়েছে ইডি-র তরফে।

প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে সেনাপ্রধান ভি কে সিং একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে নাম না করে প্রাক্তন সেনাপ্রধান তেজেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর জন্য টাট্রা সংস্থার কাছ থেকে ৬০০টি নিম্নমানের গাড়ি কেনার বিনিময়ে তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থার তৈরি নিম্নমানের ট্রাকগুলি কেনা হয় বলেও জানিয়েছিলেন জেনরেল সিং। মিডিয়ায় এই ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সেনাবাহিনীতে টেট্রা ট্রাক কেনাবেচায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিবিআই। চেক প্রজাতন্ত্রের ট্রাক নির্মাতা কোম্পানি টেট্রা-র প্রধান অংশীদার, ভেকট্রা-র বিরুদ্ধেও কয়েকটি আর্থিক অনিয়মের খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। সে বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের দুর্নীতিদমন বিভাগের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে সিবিআইয়ের ইকনমিক অফেন্স উইং। পুরো ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ফৌজে টাট্রা ট্রাক সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা `বিইএমএল`-এর নামও উঠে আসে।

.