যৌন হেনস্থা নয়, সহকর্মীর সঙ্গে নিছকই মস্করা করেছিলেন, দাবি তরুণ তেজপালের
যৌন হেনস্থা তো দূর অস্ত, সহকর্মীর সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণই করেননি তিনি। যা ঘটেছে তা নিছকই হালকা মসকরা। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে এমনটাই দাবি করলেন তরুণ তেজপাল। একই সঙ্গে তাঁর তোপ, পরিকল্পনা করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, আজই নির্যাতিতা তরুণীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিস। সাতই নভেম্বর ঠিক কী ঘটেছিল হোটেলের লিফটে? এখনও তা স্পষ্ট নয়। নির্যাতিতা মহিলা পুলিসে অভিযোগ দায়ের না করলেও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে গোয়া পুলিস। আর ঘটনার দুসপ্তাহ পর পাল্টা তোপ দাগলেন তরুণ তেজপাল। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে তেজপালের দাবি, সাতই নভেম্বর গোয়ার হোটেলের লিফটে কিছুই হয়নি।
যৌন হেনস্থা তো দূর অস্ত, সহকর্মীর সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণই করেননি তিনি। যা ঘটেছে তা নিছকই হালকা মসকরা। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে এমনটাই দাবি করলেন তরুণ তেজপাল। একই সঙ্গে তাঁর তোপ, পরিকল্পনা করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, আজই নির্যাতিতা তরুণীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিস। সাতই নভেম্বর ঠিক কী ঘটেছিল হোটেলের লিফটে? এখনও তা স্পষ্ট নয়। নির্যাতিতা মহিলা পুলিসে অভিযোগ দায়ের না করলেও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে গোয়া পুলিস। আর ঘটনার দুসপ্তাহ পর পাল্টা তোপ দাগলেন তরুণ তেজপাল। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে তেজপালের দাবি, সাতই নভেম্বর গোয়ার হোটেলের লিফটে কিছুই হয়নি।
সেদিন যা ঘটেছিল, তা নিছকই দুজন ব্যক্তির মধ্যে হালকা মসকরা। হোটেল হায়াতের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই ঘটনাটা জানা যাবে।
আটই নভেম্বরও কয়েক সেকেন্ডের জন্য দুজনের দেখা হয়েছিল। আর তখনও কোনও ঘনিষ্ঠতা হয়নি।
আগাম জামিনের আবেদনে এখানেই থেমে থাকেননি তেজপাল। তাঁর বক্তব্য, সেদিনের ঘটনার পর কোনওভাবেই বিচলিত ছিলেন না তরুণী সাংবাদিক। তেজপালের বক্তব্য, ঘটনার পরও গোয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক্কেবারে বন্ধুত্বপূর্ণ আর হালকা মেজাজে দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে। ঘটনার দিনই রেমো ফার্নান্ডেজের অনুষ্ঠান দেখতেও গিয়েছিলেন তিনি।
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে যে তরুণ তেজপাল নিজেই ছ-মাসের ছুটি চেয়ে অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন, তিনি এখন হঠাত সুরবদল করছেন কেন?
আগাম জামিনের আবেদনে তেজপাল লিখেছেন, অভিযোগের পিছনে রয়েছে পরিকল্পিত রাজনৈতিক অভিসন্ধি। তেজপালের বক্তব্য, বঙ্গারু লক্ষণের কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দেওয়ায় এখন বদলা নিচ্ছে বিজেপি। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি তেজপাল।
হাইকোর্টে তেজপালের আগাম জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি বুধবার। আর সেই আবেদনে তেজপালের তোপের পর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়েছে বিজেপি।
ইতিমধ্যেই চাকরি ছেড়েছেন নির্যাতিতা। মঙ্গলবার তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিস। কিন্তু, কেলেঙ্কারির ঢেউটা যে কতটা বড়, তা বেশ বুঝতে্ পারছে তহেলকা পত্রিকা। ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন সংস্থার সিনিয়র এডিটর রাণা আয়ুব। তহেলকার তদন্ত কমিটির সদস্য হতে অস্বীকার করেছেন সমাজকর্মী ঊর্বশী বুটালিয়া। তেজপালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত তো করছেই গোয়া পুলিস। এবার তেজপাল যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারেন সেজন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে তারা।