মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সব সাহায্য করব, বললেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা
২০১৩ সালে দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন রাম জেঠমালানি। তারপর থেকেই নরেন্দ্র মোদী, আমিত শাহদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যকেই দেখতে চান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাম জেঠমালানি। সম্প্রতি বেসুরো তিন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা ও অরুণ শৌরিকে লেখা এক চিঠিতে এমনই জানিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে কেন্দ্রে মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দিন কয়েক আগে রাম জেঠমালানির কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন এই তিন বিক্ষুব্ধ নেতা। তারই জবাব দেন এই বিখ্যাত আইনজীবী।
জেঠমালানি তাঁর দীর্ঘ চিঠিতে লিখেছেন, ''আমি রাজনীতি ও আইনি পেশা থেকে অবসর নিয়েছি। আমার মতে, কেন্দ্রে মোদী সরকারকে গদিচ্যুত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র বিকল্প। বর্তমানে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতেই ময়দানে নেমেছি। আর তাই এই মুহূর্তে আমার পক্ষে আপনাদের সঙ্গ দেওয়া সম্ভব নয়।''
আরও পড়ুন- বিজেপি হিংসার রাজনীতি করেছে, বিকল্প খুঁজতে কংগ্রেসের সঙ্গে থাকুন : রাহুল গান্ধী
ইন্ডিয়া টুডেতে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। জেঠমালানি আরও লিখেছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছেন। মমতা জবাবে জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে উত্খাত করতে বদ্ধপরিকর তিনি। অত্যন্ত সাহসী মহিলা বলে মমতাকে অভিহিত করে জেঠমালানি বলেছেন, ''আমি লক্ষ্যে পৌঁছতে আমি তাঁকে সম্পূর্ণ সাহায্য করব।''
২০১৩ সালে দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন রাম জেঠমালানি। তারপর থেকেই নরেন্দ্র মোদী, আমিত শাহদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। জেটমালানির অভিযোগ, ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ একাধিক মামলা থেকে বাঁচতে তাঁর কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই মামলায় জয়ী হয়ে পরবর্তীতে জেঠমালানির সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।