‘‘অনেক লড়াই হয়েছে, এবার এর শেষ দেখতে চাই’’, সুপ্রিম রায়ের প্রতীক্ষায় নির্ভয়ার মা

গতবছর ৫ মে ওই ৪ জনকে ফাঁসির সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট

Updated By: Jul 9, 2018, 01:11 PM IST
‘‘অনেক লড়াই হয়েছে, এবার এর শেষ দেখতে চাই’’, সুপ্রিম রায়ের প্রতীক্ষায় নির্ভয়ার মা

নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনা চেয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপরে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ ওই  রায় দেওয়া হতে পারে। ফলে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের পরিণতি অনেকটাই নির্ভর করছে এই রায়ের ওপরে। সুপ্রিম কোর্টেও ফাঁসির সাজা বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ‌যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা থাকবে না সাজাপ্রাপ্তদের।   

এদিকে, শীর্ষ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন বলে মন্তব্য করলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানান, ‘অনেক লড়াই হয়েছে। এবার এই লড়াই শেষ হোক। আশাকরি আদালত দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেবে। এই ধরনের অন্য অনেক মামলায় পথ দেখাবে এই রায়। নির্ভয়ার আত্মার শান্তি পাবে।’

অারও পড়ুন-জেলের মধ্যেই গুলি, খুন ইউপির কুখ্যাত মাফিয়া মুন্না বজরঙ্গি

নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ২০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্ট মুকেশ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এর পরই মুকেশ, পবন ও বিনয় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত চতুর্থ জন অক্ষয় কুমার সিং। সে এখনও প‌র্যন্ত মৃত্যুদণ্ড মকুব করার কোনও আবেদন করেনি। গতবছর ৫ মে ওই ৪ জনকে ফাঁসির সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।সোমবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি আর ভানুমতী ও বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চে নির্ভয়া মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হচ্ছে।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ওই গণর্ধণের মামলায় মোট অভি‌যুক্ত ছিল ৬ জন। এদের মধ্যে বাসচালক রাম সিং তিহাড় জেলের মধ্যেই মারা ‌যায়। অন্য একজন ছিল নাবালক। তাকে পাঠানো হয় হোমে। তিন বছর পর সে ছাড়া পেয়ে ‌যায়। ‌যদিও ওই ধর্ষণের ক্ষেত্রে ওই নাবালকই সবচেয়ে নৃশংস আচরণ করেছিল বলে অভি‌যোগ।

আরও পড়ুন-টিউশন পড়ে বেরিয়ে হইচই, ছাত্রকে বেধড়ক ‘মার’ গৃহশিক্ষকের

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন প্যারামেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়া। তার সঙ্গীকে ঘায়েল করে বাস থকে ফেলে দেয় দোষী সাব্যস্তরা। এরপর ওই ছাত্রীর ওপরে চলে নির্মম অত্যাচার। তার ‌যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অন্ত্র বের করে দেওয়া হয়। আহত নি‌র্যাতিতাতে নিয়ে ‌যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে। ১৩ দিন লড়াই করার পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

.