Farmer's Protests: অনির্দিষ্টকালীন রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলতে পারে না: Supreme Court
দিল্লিতে সড়কে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের হঠাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন নয়ডার এক ব্যক্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিক্ষোভের অধিকার রয়েছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে নয়। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক-প্রতিবাদ নিয়ে এমনটা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় প্রায় একবছর ধরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। বিক্ষোভকারীদের সরাতে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এনিয়ে কৃষক সংগঠনগুলিতে মতামত জানাতে তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ ডিসেম্বর।
দিল্লিতে সড়কে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের হঠাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন নয়ডার এক ব্যক্তি। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এ দিন জানায়,''শেষপর্যন্ত একটা সমাধান তো দরকার। আইনি লড়াই চললেও বিক্ষোভের অধিকারের বিপক্ষে নই আমরা। কিন্তু রাস্তা তো আটকানো যায় না।'' দুই বিচারপতির বেঞ্চের বিচারপতি এসকে কল বলেন,''আইনি সংস্থার, বিক্ষোভ, সংসদে বিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন কীভাবে হাইওয়ে আটকে রাখা হচ্ছে?'' আর এক বিচারক এমএম সুনন্দ্রেশ বলেন,''আপনাদের বিক্ষোভের চালিয়ে যাওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু এভাবে রাস্তা আটকে রাখা তো ঠিক নয়। মানুষের রাস্তায় চলার অধিকারও রয়েছে।''
বিক্ষোভের অধিকার নিয়ে গতবছর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে-র বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন কৃষক সংগঠনগুলির তরফে আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে। তবে আদালত জানায়, 'এব্যাপারে ঢুকতে চাই না।' দাভে জানান, ''রামলীলা ময়দানে কৃষকদের ঢুকতে দেওয়া হোক। এটাই সমাধান। সেখানে ৫ লক্ষ লোককে নিয়ে সভা করেছে বিজেপি। অথচ কৃষকদের বাধা দিয়েছে পুলিস। কেন এই দ্বিচারিতা?'' রামলীলায় কয়েকজনকে ঢুকতে দেওয়ার পর গুরুতর বিষয় ঘটে গিয়েছিল বলে দাবি করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। দাভে তখন বলেন, ''গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত ছিল। লালকেল্লায় যারা উঠেছিল তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই।''
আরও পড়ুন- DA Hike: দীপাবলির আগেই ডিএ বৃদ্ধি, একলাফে বছরে আয় বাড়তে পারে ৮১ হাজার