‘হিল্লি-দিল্লি করুন, কিন্তু আইন নিয়ে খেলবেন না’, ‘সুপ্রিম রোষে’ চিদম্বরম পুত্র
ইডি এবং সিবিআই যত বারই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্রকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছে, তা নাকচ হয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ জার্মানি তো কাল ফ্রান্স। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের পুত্র কার্তির এমন অহরহ বিদেশযাত্রায় ব্যাহত হচ্ছে ইডি-র তদন্ত। সুপ্রিম কোর্টে এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা করলে, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত কার্তি চিদম্বরমকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চের কার্যত হুঁশিয়ারি, “হিল্লি-দিল্লি করুন, অসুবিধা নেই কিন্তু আইন নিয়ে খেলবেন না।”
আরও পড়ুন- ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে ছক পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের, দাবি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে
ইডি এবং সিবিআই যত বারই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্রকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছে, তা নাকচ হয়ে গিয়েছে। দু’জনে আপাতত জামিনে রয়েছেন। কিন্তু ইডি-র অভিযোগ, কার্তিকে যত বারই তলব করা হয়েছে, হাজিরায় টালবাহানা করেছেন তিনি। সে কারণে, এয়ারসেল-ম্যাক্সিসের তদন্তও ব্যাহত হচ্ছে। গত সপ্তাহে শুনানিতে কার্তির তলবের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ইডি-র থেকে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে, কার্তির ‘বিদেশ ভ্রমণে’ বিরোধিতা করে পদক্ষেপ করার আর্জি জানায় ইডি। বুধবার, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আগামী মার্চের ৫, ৬, ৭ এবং ১২ তারিখে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হবে কার্তিকে। পাশাপাশি কার্তির বিদেশ সফরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ১০ কোটি টাকা জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ফের ইস্তফা! মোদী সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ পরিসংখ্যান কমিশনের ২ শীর্ষকর্তা
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের পুত্রকে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, “আপনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু তদন্তের অসহযোগিতা লেশমাত্র হয়, তা হলে আপনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পি চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন এয়ারসেল টেলিকমিউনিকেশনে বেআইনিভাবে মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিসের অর্থলগ্নি করানোয় কার্তি চিদাম্বরমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। এর জন্য তাঁর সংস্থাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। আইএনএক্স কাণ্ডেও ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশি অর্থ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কার্তির বিরুদ্ধে। এই দুই বিষয়ে পরোক্ষভাবে পি চিদাম্বরমও জড়িত বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।