Supreme Court Pegasus hearing: সরকার কোনও সাহায্যই করছে না, পেগ্যাসাস কাণ্ডে 'সুপ্রিম' তোপের মুখে কেন্দ্র
Supreme Court Pegasus hearing: রিপোর্ট বলছে যে, ২৯টি ফোন পরীক্ষা করে দেখা হয়। তারমধ্যে ৫টিতে ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার থাকার কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তে সরকার কোনও সাহায্যই করছে না। পেগ্যাসাস কাণ্ডের তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে কেন্দ্র। পেগাসাস মামলার শুনানি চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের প্যানেল স্পষ্ট জানায় যে, পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তে সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি।
রিপোর্ট উল্লেখ করে শীর্শ আদালত এদিন সাফ জানায় যে সরকার কোনও সাহায্য-ই করেনি। বিচারপতি রামানা বলেন, 'সম্পূর্ণ রিপোর্ট আগে পড়ে দেখা হবে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট পড়ে দেখার আগে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। পেগাসাস প্যানেলের প্রতিবেদনের কিছু অংশ গোপনীয় এবং এতে ব্যক্তিগত তথ্যও থাকতে পারে।' পেগাসাস প্যানেল রিপোর্ট বলছে যে, ২৯টি ফোন পরীক্ষা করে দেখা হয়। তারমধ্যে ৫টিতে ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার থাকার কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শীর্ষ আদালত এদিন জানায় যে, তিন ভাগে রিপোর্ট জমা পড়েছে। তার মধ্যে দুটি রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটির। আর একটি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রন নেতৃত্বাধীন কমিটির। প্রসঙ্গত, পেগাসাস কাণ্ডে ১৪২ জনকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যে তালিকায় নাম রয়েছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী থেকে নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর সহ প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার প্রমুখকে।
২০০২ সালে ভয়ঙ্কর গুজরাট হিংসায় বিলকিস বানোর পরিবারের ৮ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে উন্মত্ত জনতা। পাঁচ মাসের গর্ভবতী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি তার চোখের সামনেই তার ৩ বছরের মেয়েকে আছড়ে মারা হয়। ওইসব অভিযুক্তদের সাজা হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার ঠিকানা বদল করেছে বিলকিস বানো। কিন্তু যাবজ্জীবন সাজা পেলেও একাধিক বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে সাজাপ্রাপ্তরা।
এই ভয়াবহ অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দেয় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। আসামীদের মধ্যে একজন মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই গত ১৫ অগাস্ট গোধরা জেল থেকে ১১ জনকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।