Supreme Court: বাঘের বদলে গোরু! জাতীয় পশু নিয়ে বিতর্কে কী বলল দেশের শীর্ষ আদালত?
Supreme Court: গোরক্ষা আজকের বিষয় নয়। সেই উনিশ শতক থেকেই গোরক্ষা নিয়ে আলাদা করে ভেবে এসেছে ভারতীয় সমাজের একাংশ। গত এক দশকে এ দেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্ররোচনায় গোরু নিয়ে স্পর্শকাতরতা দিন দিন বেড়েছে, যা সময়ে সময়ে যুক্তির চৌকাঠও পেরিয়ে গিয়েছে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীকে সটান বলে দিল, এই মামলটাই তুলে নিন! এটা নিয়ে আলোচনার কোনও দরকারই নেই। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে আর কথাবার্তা এগোতেই চাইল না। মামলা ছিল, আবেদনকারী বলেছিল, সুপ্রিম কোর্ট যেন ভারত সরকারকে এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে, দেশের জাতীয় পশু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পরিবর্তে হোক গরু। আপাতত 'প্যান্থেরা টাইগ্রিস' যাকে আমরা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বা বেঙ্গল টাইগার বলে জানি, সেটিই এই মুহূর্তে ভারতের জাতীয় পশু।
মামলার শুনানিতে এস কে কাউল প্রশ্ন তুলে দেন, জাতীয় পশুর নাম ঠিক করাটা কি কোর্টের কাজ? বাঘের বদলে গোরুর নাম জাতীয় পশু হিসেবে নির্ধারণ করার কথা কেন তাঁর মক্কেল বলেছেন, তা নিয়ে আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী তর্ক তোলেন, গোরু রক্ষার কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সরকারের এই কাজটি করা দরকার। গোরুর মূত্র কাজে লাগে, কৃষিকার্যে গোবর কাজে লাগে, গোরু রক্ষা করা খুবই জরুরি। কিন্তু এই কথায় মোটেই চিঁড়ে ভেজে না। উল্টে বিচারপতি এস কে কাউল বলেন, কেন আপনারা এরকম একটি আবেদন করলেন? দেশে কোনও মৌলিক অধিকার কি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, যেজন্য এখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করব? আপনারা এসেছেন বলে আইনের কাজকর্মকে জানলার বাইরে ছুঁড়ে দিতে হবে?
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
কিন্তু স্বয়ং বিচারপতির এই আক্রমণাত্মক প্রশ্নতেও পিছপা হন না আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী। তিনি ফের প্রশ্ন তোলেন, আমরা কোনও কিছু দাবি করছি না, কিন্তু আমরা গোরুর থেকে সব কিছু পাই, আসলে সে কারণেই আমরা বলতে চাইছি, গোরক্ষায় ভারত সরকারের এগিয়ে আসা জরুরি।
আরও পড়ুন: দুর্গা প্রতিমার ছবি তোলার অপরাধে নিগৃহীত পাঁচ আদিবাসী
কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হয় না। কেননা, আবেদনকারীকে তাঁর আবেদন তুলে নিতে হয়। কেসটা ডিসমিস হয়ে যায়।
ভারতে বহুদিন থেকেই গোরক্ষার ক্ষেত্রে একটা ধুয়ো উঠছে, গোরু নিয়ে স্পর্শকাতরতাও এ দেশে ক্রমে বেড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এই মামলা ও তার রায়।