Supreme Court: দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, 'সুপ্রিম' শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ
ডিভিশন বেঞ্চ একটু অপেক্ষা করতে পারত। যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শীর্ষ আদালতকে বলতে হবে যে তদন্ত হোক। কারণ পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত স্তরে দুর্নীতি ছেয়ে আছে। তাই তদন্ত প্রয়োজন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়। সিঙ্গল বেঞ্চে মেডিক্যাল মামলার শুনানি ও সবরকম নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। আবার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে। হাইকোর্টে বেনজির সংঘাত। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সৌমিত্র সেন, দুই বিচারপতির মধ্যে বেনজির সংঘাত। দুই বিচারপতির সেই দ্বন্দ্বে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। ছুটির দিন শনিবারেও তাই সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতত্বে বিশেষ বেঞ্চে এদিন শুনানি হয়। সুপ্রিম শুনানিতে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় সিঙ্গল বেঞ্চের সমস্ত নির্দেশের উপর।
ওদিকে এপ্রসঙ্গে বাম নেতা ও বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "বিষয়টা ঠিক বিচারপতি বনাম বিচারপতি নয়। বিষয়টা হল তদন্ত হবে কি, হবে না। বিরোধের জায়গা এটাই। বিচারপতিদের ভিন্ন মতামত। বিচার প্রয়োগের পদ্ধতিতে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। এটা না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ একটু অপেক্ষা করতে পারতেন। যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সর্বোচ্চ আদালতকে বলতে হবে, তদন্ত হোক। পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত স্তরে দুর্নীতি ছেয়ে আছে। তাই তদন্ত প্রয়োজন। এর আগে অতীতে একবার ওরাল মেনশন এবং লিখিত পিটিশনে ফারাক ছিল। তাতে স্টে দেওয়া হয়েছিল। স্টে দেবে কখন? যখন এমন পরিস্থিতি যেখানে স্টে না দিলে বিচারপ্রার্থীদের ক্ষতি হয়ে যাবে। এখানে তো সেরকম কোনও পরিস্থিতি ছিল না।"
ডাক্তারিতে সুযোগ পেতে ভুয়ো জাতি শংসাপত্র পেশ! কীভাবে? সিবিআইকে FIR দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরেও অনড় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অবৈধ। সিবিআই-কে FIR দায়ের করার যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশ খারিজ হবে না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকী, সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শুরু করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
নির্দেশনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে অভিষেকের শুনানি লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। বলেছিলেন, অভিষেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ আছে। তাঁকে বিরক্ত করা যাবে না। লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে শুনানি করুন। পরে বিষয়টি হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতিকে জানান বিচারপতি সিনহা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দাবি, ‘হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এটা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন।’ এই বেনজির সংঘাতেই এখন সরগরম আদালত চত্বর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)