'আপনারা শুনানির যোগ্য নন', অলোক বর্মার গোপন বয়ান ফাঁসে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

সিবিআইয়ে ডামাডোলের পর অধিকর্তা অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বর্মা। 

Updated By: Nov 20, 2018, 01:10 PM IST
'আপনারা শুনানির যোগ্য নন', অলোক বর্মার গোপন বয়ান ফাঁসে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার মামলায় কীভাবে গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হল? সেনিয়ে প্রশ্ন তুললেন ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাঁর কথায়, 'মনে হয় না আপনারা শুনানির যোগ্য'। মামলার শুনানি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। 

এদিন শুনানির শুরুতেই কয়েকটি নথি অলোক বর্মার আইনজীবী ফলি নরিম্যানের হাতে তুলে দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। বলেন,'আপনি অভিজ্ঞ আইনজীবী। কিছুটা সময় নিয়ে জবাব দিন। আমরা অন্য মামলার শুনানি করব'। ফলি নরিম্যানের হাতে যে নথি দেন বিচারপতি, তা আসলে একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন। সেখানে সিবিআই অধিকর্তার গোপন জবানবন্দি ছাপা হয়েছে।বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কীভাবে এটা ফাঁস হল? ফলি নরিম্যান জবাব দেন, 'আমরা জানি না'। ৮৯ বছরের আইনজীবী বলেন,'আমি নিজেও বিচলিত। সারা রাত কাজ করেছি। এটা যিনি করেছেন, তাঁকে সমন পাঠানো হোক'। নরিম্যানের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দিনের কাজ সারার পর তাঁর বক্তব্য শুনবেন বিচারপতিরা। 

সিবিআইয়ে ডামাডোলের পর অধিকর্তা অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বর্মা। তাঁর বিরুদ্ধে সিভিসি রিপোর্টে দুর্নীতির কথা উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে সোমবার অলোক বর্মার বক্তব্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। গোপনীয়তা রাখতে বন্ধখামে লিখিত জবানবন্দি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। কিন্তু সেই বয়ানই ফাঁস হয়ে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে।          

আদালতের পর্যবেক্ষণ, অলোক বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কয়েকটি 'অপ্রশংসিত' বিষয় পেয়েছে সিভিসি। তারা আরও খতিয়ে দেখতে চায়। উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি একে পট্টনায়েকের নেতৃত্বে অলোক বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে সিভিসি। গত ১২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। 

বর্মার মামলা ছাড়াও সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছে একটি এনজিও। ওই মামলাটিরও শুনানি চলছে। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

সোমবার সিবিআই আধিকারিক মণীশ কুমার সিনহা আদালতে অভিযোগ করেন, সিবিআইয়ের হাত থেকে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানাকে বাঁচাতে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নেন এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সিনহার দাবি, মইন কুরেশির মামলা. সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার কেভি চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন সানা সতীশ বাবু। এই মামলায় যুক্ত অজিত দোভালের পরিচিত দুই ব্যক্তি। সিনহার অভিযোগ, মামলা ধামাচাপা দিতে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী হরিভাই প্রার্থীভাই চৌধুরীকে ঘুষ দিয়েছিলেন সতীশ বাবু। গুজরাটের সাংসদ হরিভাই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, র অফিসার সামন্ত গোয়েলের একটি কথোপকথনও শুনেছেন সিনহা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সিবিআইয়ের বিষয়টি দেখে নেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

 

আরও পড়ুন- তড়িত্ গতিতে ছুটে চলছে ভারতের ট্রেন -১৮, দেখুন ভিডিও 

.