অতিরিক্ত অবসাদের ওষুধই কি সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর জন্য দায়ী? পুলিসের হাতে পৌঁছল অটোপ্সি রিপোর্ট

দিল্লির সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক শর্মার হাতে সুনন্দা পুষ্করের অটোপ্সি রিপোর্ট তুলে দিলেন এইমস-এর চিকিত্সকরা. শুক্রবার লীলা প্যালেস হোটেলের যেই ঘর থেকে সুনন্দা পুষ্করের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের ছবিও এসে পৌঁছেছে পুলিসের হাতে. শনিবার যেই চিকিত্সকরা সুনন্দার ময়নাতদন্ত করেন, তাঁরাও হোটেলের ঘরের ছবি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন.

Updated By: Jan 20, 2014, 07:10 PM IST

দিল্লির সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক শর্মার হাতে সুনন্দা পুষ্করের অটোপ্সি রিপোর্ট তুলে দিলেন এইমস-এর চিকিত্সকরা. শুক্রবার লীলা প্যালেস হোটেলের যেই ঘর থেকে সুনন্দা পুষ্করের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের ছবিও এসে পৌঁছেছে পুলিসের হাতে. শনিবার যেই চিকিত্সকরা সুনন্দার ময়নাতদন্ত করেন, তাঁরাও হোটেলের ঘরের ছবি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন.

ডাক্তারি সূত্রে খবর, অটোপ্সির প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে অবসাদের ওষুধ বেশি পরিমানে খাওয়ার ফলে কোমায় চলে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে শশী পত্নীর. তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও তার কারণে মৃত্যু হয়নি বলেই জানিয়েছেন চিকিত্সকরা. সুনন্দার মৃত্যুর দ্রুত তদন্তের জন্য সুশীলকুমার শিন্ডেকে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন শশী থারুর. তদন্তে সবরকম সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মানবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী.

সুনন্দ পুষ্করের মৃত্যুর দিন তাঁর হোটেলের রুম থেকে একটি ট্রাইকুইলাইজারের খালি পাতা উদ্ধার করেছে পুলিস।

এর আগে সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু অস্বাভাবিক ও অকস্মাৎ বলে জানা যায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। দেহে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে।

ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টের পর সুনন্দা মৃত্যু রহস্য আরও জটিল আকার নেয়। লীলা প্যালেস হোটেলের একাধিক কর্মীকে জেরা করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। খতিয়ে দেখা হয়েছে হোটেলের তিনতলার সিসিটিভি ফুটেজও।

গত কয়েকদিনের টুইট বিতর্কে জল ঢেলে সুনন্দা পুষ্কর এবং শশী থারুর জানিয়েছিলেন তাঁরা সুখী দম্পতি। কিন্তু শুক্রবার রাতে লীলা প্যালেস হোটেলে সুনন্দা পুস্করের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সব হিসেব পালটে গেল। হোটেলের ৩৪৫ নম্বর স্যুইট থেকে উদ্ধার হয় সুনন্দার নিথর দেহ।

শুক্রবার রাত নটা নাগাদ সরোজিনী নগর থানায় ফোন করে সুনন্দার মৃত্যুর খবরটি জানান শশী থারুরের ব্যক্তিগত সচিব অভিনব কুমার। খবর পেয়ে হোটেলে গিয়ে তদন্ত করেন সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির আধিকারিরাও। হোটেলের তিনতলার সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি সুনন্দার মোবাইল ফোনের কললিস্ট এবং টুইটার অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। জেরা করা হয় হোটেলের একাধিক কর্মীকেও। তিনশো পঁয়তাল্লিশ নম্বরের যে ঘরটিতে ওই দম্পতি ছিলেন সেই ঘরটিতেও চিরুনি তল্লাসি চালায় পুলিস। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বুকে ব্যাথা অনুভব করায় এইমসে ভর্তি করা হয় শশী থারুরকে। পরে অবশ্য অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সুনন্দার মৃত্যুর খবর পেয়ে টুইটারে পোস্ট করেছেন পাক সাংবাদিক মেহের তারার

তিনি লিখেছেন

হায় ভগবান। সুনন্দা তুমি এটা কি করলে?

আমি একটু আগে উঠে খবর দেখলাম। আমি প্রচণ্ড হতাশ। এটা এতটাই দুঃখজনক যে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সুনন্দার আত্মার শান্তি কামনা করি।

শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য এইমসে নিয়ে আসা হয় সুনন্দা পুষ্করের দেহ। সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সুনন্দার দেহে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে বলেও জানা গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

.