মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুনের আঁচ, ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
জুলাই মাসেই একদফা দাম বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের। এবার এক ফের একবার বাড়ল। গত মাসে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারে বাড়ানো হয় ২.৭১ টাকা প্রতি লিটার
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপ বাড়ল মধ্যবিত্তের ওপরে। ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। দামি হল ভর্তুকিযুক্ত ও ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাস। ইন্ডিয়াল অয়েল করপোরেশন সূত্রে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।
এমাস থেকে ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপিছু বাড়ল ১.৭৬ টাকা। অন্যদিকে, ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারপিছু বাড়ল ৩৫.৫০ টাকা। এর ফলে দিল্লিতে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম পড়বে ৪৯৮.০২ টাকা। অন্যদিকে ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের দাম পড়বে ৭৮৯.০৫ টাকা।
ইন্ডিয়ান অয়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মূদ্রা বিনিময় মূল্য পরিবর্তনের ফলে এই দাম বাড়ল। তবে জিএসটিও এই দাম বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বাংলাতেও নাগরিক পঞ্জী! তীব্র কটাক্ষ মমতার
তেলের দামের সঙ্গে গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। জুলাই মাসেই একদফা দাম বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের। এবার এক ফের একবার বাড়ল। গত মাসে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারে বাড়ানো হয় ২.৭১ টাকা প্রতি লিটার। অন্যদিকে ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারে বাড়ে ৫৫.৫০ টাকা প্রতি লিটার।
জুলাই মাসে মাসে দিল্লির গ্রাহকরা সিলিন্ডারপিছু ভর্তুকি পেয়েছিলেন ২৫৭.৭৪ টাকা। অগাস্ট মাসে ওই ভুর্তুকি ২৯১.৪৮ টাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পরিবারপিছু বছরে ১২টি সিলিন্ডার ভর্তুকিযুক্ত দামে গ্রাহকদের দেওয়া হয়। তার পরে গ্রাহকদের কিনতে হয় ভর্তুকিহীন দামে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রতিদিনই নতুন করে নির্ধারণ করছে সরকার। তেমনি রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি মাসেই ঠিক করছে তেল কোম্পানিগুলি।
আরও পড়ুন-বিছানায় অন্য পুরুষের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তে স্ত্রী! প্রতিবাদ করাতেই কোপ
তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের চাপ ক্রমশই বাড়ছে। তেলের দাম মাঝেমঝে সামান্য কমানো হলেও যে হারে তা বেড়েছে তাতেই কাহিল সাধারণ মানুষ। এনিয়ে বিরোধীরা প্রবল হইহট্টগোল করলেও তেলের দাম খুব একটা কমছে না। এক্ষেত্রে সরকার শুল্ক কমালেই একমাত্র তেলের দাম কমতে পারে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও শুল্ক কমাতে রাজি নয় কেন্দ্র। তারা বল ঠেলছে রাজ্য সরকারগুলির ওপরে।
এদিকে দেশের অধিকাংশ রাজ্য সরকার তাদের শুল্ক কমাতে সম্মত নয়। ফলে এসে যাচ্ছে সিএসটি কথা। তেলের ওপরে জিএসটি বসিয়ে দিলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করছে নানা মহল। কিন্তু এনিয়ে এখনও কোনও উদ্যোগ সরকার নেয়নি। বিষয়টি এখনও বিবেচনার পর্যায়েই রয়ে গিয়েছে।