উত্তরপ্রদেশে মোদীকে রুখতে চূড়ান্ত সপা-বসপা-কংগ্রেসের মহাজোট
নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলায় বিরোধী ঐক্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির একমঞ্চে আনতে সক্ষম হল কংগ্রেস। যোগীর রাজ্যে ২০১৯ সালে সপা-বসপা-কংগ্রেস মহাজোট প্রায় চূড়ান্ত। জোটের কারবারিদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের পাঁচের বেশি আসন পাবে না বিজেপি। কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের সূত্রের খবর, জোট নিয়ে কথা প্রায় পাকা। আর এই জোট প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, জোটে সম্মানজনক আসন পেতে চলেছে দল।
উত্তরপ্রদেশের পথ হয়েই দিল্লির তখতে বসতে হয়। ২০১৪ সালে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যে বিজেপির আশাতীত ফলই তাদের ২৮২ আসনে পৌঁছেছিল। সে বার সপা ও বসপা আলাদা লড়াই করেছিল। সপা কোনওক্রমে পাঁচটি আসন পেলেও খাতা খুলতে পারেনি মায়াবতীর দল। ফলে উত্তরপ্রদেশেই নজর দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর, ফুলপুর ও কৈরানার মতো আসনে উপনির্বাচনে বিরোধী জোটের সামনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাতেই উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। ফলে মোদীকে ঠেকাতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্যেই ভরসা রাখছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারলে কেল্লাফতে! রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরপ্রদেশে মহাজোটের সামনে বেগ পেতে পারে বিজেপি। তবে নিশ্চিতভাবে মোদী-শাহও এত সহজে ময়দান ছেড়ে দেবেন না। তাঁদের কাছেও কৌশল মজুত রয়েছে। সবমিলিয়ে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে জমে উঠবে মহাজোট বনাম মোদী-শাহের লড়াই।
শোনা যাচ্ছে, রায়বরেলী কেন্দ্রটি এবার নিজের কন্যাকে ছেড়ে দিতে পারেন সনিয়া গান্ধী। উত্তরপ্রদেশে দলের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা বঢরাকে। কংগ্রেসের অন্দরে একাধিকবার তাঁকে সামনে আনার দাবি উঠেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অনেকখানি মিল রয়েছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতারা। তবে রায়বরেলীর আসন ছাড়া নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে রাহুলের কথা হয়নি বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সনিয়া গান্ধীর উপরেই ছেড়ে দিয়েছে দল। সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অমেঠি থেকে চতুর্থবার প্রার্থী হতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। ২০০৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রে অভিষেক হয় রাহুলের। তারপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালের ভোটেও জেতেন তিনি।
কংগ্রেসের আশা, ২০১৯ সালে আর প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। ২৩০টির কম আসন বিজেপি পেলে কোনওমতেই সরকার গঠন করতে পারবে না তারা।
আরও পড়ুন- শিলচরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল: রাজনাথ সিং