বৈধ নথি না থাকলে ভাঙা পড়বে পুরীর কিছু হোটেল
বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার আদি ও অকৃত্রিম ডেস্টিনেশন পুরী। পুরী যে বাঙালি হৃদয়ের কতটা জুড়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের মধ্যে এরকম অনেকেই আছেন যারা আনায়াসে পুরীর ম্যাপ চোখ বন্ধ করে গড়গড়িয়ে বলে যাবে। হোটেল, হলিডেহোমের কর্মচারীদের নাম, ফোন নংও অনেকেরই মুখস্ত। কিন্তু সেই পুরীতেই এখন ঝামেলা। ঝামেলা, পুরীর সৈকতে গড়ে ওঠা বেশ কিছু 'অবৈধ' (নির্মানের কারণে) হোটেলকে নিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার আদি ও অকৃত্রিম ডেস্টিনেশন পুরী। পুরী যে বাঙালি হৃদয়ের কতটা জুড়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের মধ্যে এরকম অনেকেই আছেন যারা আনায়াসে পুরীর ম্যাপ চোখ বন্ধ করে গড়গড়িয়ে বলে যাবে। হোটেল, হলিডেহোমের কর্মচারীদের নাম, ফোন নংও অনেকেরই মুখস্ত। কিন্তু সেই পুরীতেই এখন ঝামেলা। ঝামেলা, পুরীর সৈকতে গড়ে ওঠা বেশ কিছু 'অবৈধ' (নির্মানের কারণে) হোটেলকে নিয়ে।
গতকাল, বৃহস্পতিবার, পুরীর সমুদ্রতীরে দূষণ সংক্রান্ত এক মামলায়, জাতীয় পরিবেশ আদালত চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে ১৮ই অগাস্টের মধ্যে ব্যবসা চালানোর বৈধ নথিপত্র না দেখাতে পারলে বেশ কিছু 'গজিয়ে ওঠা' হোটেলকে ভেঙে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দিল্লির জাতীয় পরিবেশ আদালতে পুরীর দূষণ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন কলকাতার পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। সুভাষ তাঁর আবেদনে বলেন, সমুদ্রের তীরে অবাধে হোটেল গজিয়ে ওঠার জন্য পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং ওই সব হোটেলের বর্জ পদার্থ গিয়ে মশছে সমুদ্রের জলে। ফলে একই সঙ্গে জল দূষণও ঘটছে। সেই মামলার সুনানিতেই আদালত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হোটেল মালিকদের হোটেলের নকশা, উপকূলবর্তী অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র জমা দিতে বলেছে।
এবার চড়ুন হেলিকপ্টার অটোয়!
এখন দেখার আদালতের এই নির্দেশে বাঙালির সাধের 'শ্রীক্ষেত্র'-এর শ্রী ফেরে কিনা!