গো-তাণ্ডবে হত ইন্সপেক্টর খুনের পিছনে রয়েছে যোগীর পুলিসই!
উল্লেখ্য, এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিসের গাড়ি দরজা খোলা অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন সুবোধ। বাঁ চোখে ভ্রুর তলায় বুলেটের গভীর ক্ষত। চারদিকে উত্তাল জনতা ছোটাছুটি করছে। ভিড়ের মাঝে ‘গুলি মারো’ বলে চিত্কার শোনা যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: থমথমে বুলন্দশহর। ৫০০ র্যাপ-সহ আরও ৬০০ নিরাপত্তারক্ষীর ভারী বুটে গোটা এলাকা তটস্থ। গত কাল দিনভর তাণ্ডব চালায় গোরক্ষকরা। জনতার রোষে মৃত্যু হয়েছে পুলিস আধিকারিক সুবোধ কুমার সিংয়ের। মৃত্যু হয় আরও এক স্থানীয়ের। কিন্তু পুলিস আধিকারিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দাঁনা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠছে ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য পুলিস কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে।
আরও পড়ুন- দিল্লি থেকে রিমোটে তেলেঙ্গানার সরকার চালাচ্ছেন মোদী, অভিযোগ রাহুলের
চিঙ্গারওয়াতি এলাকায় গোহত্যার সন্দেহে কয়েকশো জনতা যখন মারমুখী হয়ে ওঠে, ততক্ষণে এলাকা ঘিরে ফেলে অদূরেই পুলিস ফাঁড়ির থেকে আসা নিরাপত্তারক্ষীরা। জনতার ইটবৃষ্টির পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট জবাব দিতে থাকে পুলিস। ইটের আঘাতে গুরুতর জখম হন সুবোধ কুমার। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও হয়। কিন্তু কেন মাঝপথেই পুলিসের গাড়ি আটকে ফের হামলা চালালো বিক্ষোভকারীরা। এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পুলিস সূত্রে খবর, যোগী রাজ্যের এই ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার দাদরির মহম্মদ আখলাখের খুনের ঘটনার তদন্তে যুক্ত ছিলেন। তার কারণেই কি গোরক্ষকদের গোটা রোষ এসে পড়ে সুবোধ কুমারের উপর। এই জল্পনা আরও উস্কে দেন সুবোধ সিংয়ের বোন। তিনি আবার পুলিসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সুবোধ সিং দাদরি কাণ্ডের তদন্ত করছিল বলেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিসেরও ষড়যন্ত্র রয়েছে। সুবোধ কুমারের বোনের আরও দাবি, “আমাদের কোনও টাকা দরকার নেই। আমার ভাইকে শহীদ ঘোষণা করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র গরু-গরু করে যাচ্ছেন।”
Sister of Policeman Subodh Singh:My brother was investigating Akhlaq case&that is why he was killed,its a conspiracy by Police.He should be declared martyr and memorial should be built. We do not want money. CM only keeps saying cow cow cow. #Bulandshahr pic.twitter.com/ohILXKCj3w
— ANI UP (@ANINewsUP) December 4, 2018
আরও পড়ুন- খরচ কমাতে বিনামূল্যে খাবার বন্ধ করল এই বিমান সংস্থা
উল্লেখ্য, এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিসের গাড়ি দরজা খোলা অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন সুবোধ। বাঁ চোখে ভ্রুর তলায় বুলেটের গভীর ক্ষত। চারদিকে উত্তাল জনতা ছোটাছুটি করছে। ভিড়ের মাঝে ‘গুলি মারো’ বলে চিত্কার শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আশপাশে পুলিসের দেখা মেলেনি। স্বভাবতই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুবোধ কুমারের ড্রাইভার জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিস ইন্সপেক্টরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি ঘিরে ধরে জনতা। জনতা এতটাই মারমুখী হয়েছিল, সেখান থেকে প্রাণে বাঁচাতে, পালাতে বাধ্য হন বলে স্বীকার করেন চালক রাম আশরে। প্রশ্ন উঠছে, আরও দুই পুলিস কর্মী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সুবোধকে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে গেলেন তাঁরা। এর পর তাঁকে গুলি করে মারা হয় বলে অভিযোগ। ময়না তদন্তেও গুলি করে খুনের কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। যোগেশ রাজ নামে বজরং দলের এক সমর্থক রয়েছে অভিযুক্তদের মধ্যে। তবে তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সুবোধের পরিবার।