এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে রামায়ণ দর্শন, রামের জীবন দেখাবে ভারতীয় রেল
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং ও ট্যুরিজম কর্পোরেশনের এক আধিকারিকের কথায়, শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেসে যাত্রী পিছু ভাড়া ১৫,১২০ টাকা। ১৬ দিনে রামায়ণে বর্ণিত সবকটি স্থান পরিদর্শন করতে পারবেন যাত্রীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তীর্থযাত্রীদের জন্য সুখবর। আজ থেকেই চালু হচ্ছে শ্রীরামায়ণ এক্সপ্রেস। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, এই এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপেই দর্শনার্থীরা সেই বিশেষ বিশেষ স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন, যেখানে যেখানে পদধূলি পড়েছে হিন্দু ধর্মাবতার শ্রীরামের। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় রেল ১৬ দিনের একটি স্পেশাল প্যাকেজ চালু করছে, যেখানে এই শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেসে চেপেই দেশের একাধিক দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে পারবেন পুন্যার্থীরা। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা, দুই দেশ মিলিয়েই এই ‘রামায়ণ যাত্রার’ ভ্রমণ প্যাকেজ তৈরি করেছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে গুজরাট দাঙ্গার বিতর্ক, মোদীর ‘ক্লিনচিটে’র মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে
একটি প্রেস বিবৃতিতে ভারতীয় রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, “১৪ নভেম্বর দিল্লি থেকে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস তার যাত্রা শুরু করবে। এই ট্রেন শ্রীরামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব স্থানকেই ছুঁয়ে যাবে। ভারত এবং শ্রীলঙ্কাকে নিয়েই শ্রী রামায়ণ যাত্রার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে সময় লাগবে ১৬ দিন”।
प्रभु श्रीराम के जीवन से संबंधित तीर्थस्थलों के दर्शन के लिये रेलवे श्री रामायण एक्सप्रेस ट्रेन चलाने जा रही है, इससे श्रीराम के जीवन से संबंधित विभिन्न तीर्थस्थानों के दर्शन किये जा सकते हैं, बुकिंग के लिये वेबसाइट देखें :https://t.co/SgH8bVZ5si pic.twitter.com/K3Bs5s8z8a
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) July 11, 2018
আরও পড়ুন- সবরীমালা-রায় পুনর্বিবেচনায় রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট, শুনানি জানুয়ারির শেষে
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং ও ট্যুরিজম কর্পোরেশনের এক আধিকারিকের কথায়, শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেসে যাত্রী পিছু ভাড়া ১৫,১২০ টাকা। ১৬ দিনে রামায়ণে বর্ণিত সবকটি স্থান পরিদর্শন করতে পারবেন যাত্রীরা। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনেই খাবার দেওয়া হবে যাত্রীদের। ধর্মশালায় থাকার ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীদের দ্রষ্টব্যস্থানের মাহাত্ম্য বোঝাবেন আইআরসিটিসি-র ম্যানেজাররা।
আরও পড়ুন- বিতর্ক মাঝেই প্রকাশ্যে এল রাফালের ‘ফার্স্ট লুক’, দেখুন ভিডিও
সফদরগঞ্জ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস। রাম জন্মভূমি অযোধ্যায় প্রথম থামবে সেটি। হনুমান গরহি, রামকোট ও কনকভবন মন্দির দর্শন করবেন যাত্রীরা। এরইসঙ্গে নন্দীগ্রাম, সীতামারি, জনকপুর, বারাণসী, প্রয়াগ, চিত্রকূট, নাসিক, হাম্পি ও রামেশ্বরমেও যাবে ট্রেনটি। স্টেশন থেকে স্থলপথে যাত্রীদের মন্দিরে পৌঁছতে সহযোগিতা করবে রেল। এমনকি শ্রীলঙ্কায় কেউ যেতে চাইলে চেন্নাই বিমানবন্দরে পৌঁছনোর ব্যবস্থাও করে দেবে রেল। আপাতত মাসে কতবার ট্রেন চালানো হবে, তা স্থির হয়নি। যাত্রীদের কাছ কেমন সাড়া মেলে, তা দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় রেল।