'চুমুবাবা'র পর্দাফাঁস, ধরা পড়ল প্রতারক সাধু
জড়িয়ে ধরে তিনি চুমু খেলেই রোগমুক্তি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : এর আগে একই কায়দায় প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন এক বাবা। হায়দরাবাদের সেই বাবা সাধুর বেশে জঘন্য কাজ করতেন। তাঁর কাছে কোনও মহিলা রোগ প্রতিকার বা অন্য কোনও সমস্যা নিয়ে গেলেই তিনি তাঁকে চুমু খেতেন। পরে জড়িয়ে ধরতেন এবং কুকর্ম সারতেন। একটা সময় পর তাঁর ভণ্ডামি জানাজানি হয়ে যায়। শেষমেশ সেই 'চুমুবাবা' শ্রীঘরে যান।
আরও পড়ুন- আরব আমিরশাহির সাহায্য নেবে না কেন্দ্র, যুক্তি কী?
একইরমকভাবে কাজ সারছিলেন আরেক 'চুমুবাবা'। জড়িয়ে ধরে তিনি চুমু খেলেই রোগমুক্তি! তাঁর এই প্রচারে প্রলুব্ধ হয়ে অনেকেই কঠিন রোগ সারানোর আশায় আসতেন। অনেক মহিলার সঙ্গে রোগ সারিয়ে দেওয়ার নাম করে কুকর্ম সেরেছেন সেই বাবা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রতারণার অভিযোগে এই ভণ্ড সাধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর আস্তানা।
চুমুবাবার আসল নাম রামপ্রসাদ চৌহান। আসারাম বাপু, গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের মতো তিনিও এক স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু। আসামের মরিগাঁও জেলার ভোরালতুপ গ্রামে রীতিমতো আশ্রম খুলে বসেছিলেন এই প্রতারক সাধু। দিনের পর দিন ধরে মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন তিনি। শেষমেশ স্থানীয় লোকজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আশ্রমে গিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ছেলেকে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন রামপ্রসাদের মা।
আরও পড়ুন- ছাত্রীকে ২ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষককে নগ্ন করে নিয়ে যাওয়া হল থানায়
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে নিজের যৌন লালসা মেটাতেন এই গুরু। মূলত মহিলারাই ছিল তাঁর টার্গেট। তবে এসবের অছিলায় ভক্তদের থেকে মোটা টাকার দক্ষিণাও নিতেন বাবা। সাধারণ মানুষের কাছে এই প্রতারক বাবা দাবি করতেন, তিনি নাকি ভগবান বিষ্ণুর অবতার! তাঁর সঙ্গলাভেই মুক্তি মিলবে শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক কিংবা বৈষয়িক সমস্যার। রামপ্রসাদ চৌহানের বিরুদ্ধে প্রতারণার পাশাপাশি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, মাত্র তিন মাসেই নিজের প্রতারণার জাল অনেকদূর বিস্তার করে ফেলেছিল এই চুমুবাবা।