রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কার নেওয়া ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন
স্থানীয় একটি স্কুলে বাচ্চাদের শিক্ষা দান করেন বলবিন্দর সিং। রোজকার মতো এদিন সকালেও স্কুলের গেট খুলতে গিয়েছিলেন সময় মতো। আর সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাঁকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- সাহসিকতার জন্য দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সৌর্য চক্র পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। নয়ের দশকে খালিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। গোটা পাড়া তাঁর সাহসিকতার জন্য গর্ব বোধ করে। এমন ব্যক্তিকে দিনেদুপুরে গুলি করে খুন করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বলবিন্দর সিং নামের সেই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার একাধিকবার খালিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। আর তাই বদলা নিতেই কি খালিস্তানি জঙ্গিরা এবার বলবিন্দর সিংকে দিনের আলোয় গুলি করে খুন করল! উঠছে প্রশ্ন।
পাঞ্জাবের ভিকখিবিন্দের ঘটনা। স্থানীয় একটি স্কুলে বাচ্চাদের শিক্ষা দান করেন বলবিন্দর সিং। রোজকার মতো এদিন সকালেও স্কুলের গেট খুলতে গিয়েছিলেন সময় মতো। আর সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাঁকে। স্থানীয় লোকজনের দাবি, আততায়ীরা বলবিন্দর যাওয়ার আগেই ওত পেতে বসে ছিল। বলবিন্দরের শরীরে পাঁচটি বুলেট ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুষ্কৃতীরা পালানোর পর বলবিন্দরকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষজন। তারপরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ২১৭ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া আইনজীবীর অফিসে হানা আয়কর কর্তাদের
বলবিন্দরের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, খালিস্তানি জঙ্গিরাই এমন কাজ করেছে। পুলিস অবশ্য আন্দাজ করছে, বলবিন্দরকে খুনের পরিকল্পনা আগে থেকেই করেছিল কেউ বা কারা! ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টিও পুলিস উড়িয়ে দিচ্ছে না। এই ঘটনায় এখনও পুলিস কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আর তাই পাঞ্জাবের আইনসৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে বলবিন্দর, তাঁর ভাই ও পরিবারের একাধিক মহিলাকে সাহসিকতার জন্য সৌর্য চক্র পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।