এবার মাঠে নামলেন শঙ্করাচার্য, গোটা দেশে গো-মাংস নিষিদ্ধকরণের দাবি
ওয়েব ডেস্ক: এবার সরাসরি ময়দানে নামলেন শঙ্করাচার্য। সারা দেশেই গো-মাংস নিষিদ্ধ করার পক্ষে সুর চড়ালেন দ্বারকা সারদাপীঠের শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী। বুধবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন রাজ্যসভায় গো-মাংসকে 'গরীব মানুষের প্রোটিনের উৎস' বলে ছিলেন। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গো-মাংস নিষিদ্ধকরণের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি।
গোটা দেশে গো-মাংস নিষিদ্ধ করার দাবির সঙ্গেই ডেরেক ও'ব্রায়েনকেও একহাত নেন শঙ্করাচার্য। বলেন ''নির্দিষ্ট একটি ধর্মের মানুষকে তুষ্ট করতে আজকাল রাজ্যসভাতেও বিফ ব্যানের বিরোধীতা করছেন কিছু রাজনীতিবিদ।''
তাঁর মতে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা মাথায় রেখেই গো-মাংস নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
''কয়েকটা ভোটের জন্য এদেশের বেশিরভাগ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে সরকার আঘাত হানতে পারে না।'' শঙ্করাচার্য উবাচ।
মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গো রক্ষায় গেরুয়া বাহিনীর মাথাব্যাথার অন্ত নেই। সংরক্ষণের দোহাই দিয়ে দু'টি রাজ্য ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা করেছে গো-মাংস। স্যাফ্রন ব্রিগেডের কেউ দাবি তুলেছেন গোরুকে রাষ্ট্র মাতার মর্যাদা দেওয়ার, কেউ বা ফিনাইলের বদলে গো-মূত্র ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের বদলে গোবর আর গো-মূত্র দিয়ে তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শঙ্করাচার্য বলেছেন, যেহেতু কেন্দ্রে এখন বিজেপি রাজ, তাই এটাই উপযুক্ত সময় সারা দেশে গো-মাংস নিষিদ্ধ করার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই বিষয়ে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এলাহাবাদে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে, গো-মাংস নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই গীতাকে জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা দেওয়ারও দাবি তুলেছেন।