স্কুলের পাঠ্যসূচীতে নিষিদ্ধ করা উচিৎ সেক্স এডুকেশন, মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
`কন্ডোম` বিতর্কের পর ফের বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের। স্কুল থেকে `সেক্স এডুকেশন` নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। তার বদলে স্কুল গুলিতে যোগ শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
`কন্ডোম` বিতর্কের পর ফের বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের। স্কুল থেকে `সেক্স এডুকেশন` নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। তার বদলে স্কুল গুলিতে যোগ শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
কিছুদিন আগেই, হর্ষ বর্ধন মন্তব্য করেছিলেন এইডস রোধে কন্ডোম ব্যবহার করার প্রচারই যথেষ্ট নয়। একটি মার্কিনি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন ``ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক গভীরতাকেই সামনে তুলে আনা উচিৎ``।
এর সঙ্গেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী যোগ করেন ``এইডস বিরোধী প্রচারকে শুধুমাত্র কন্ডোম ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ নয়। এতে মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছায়। এই প্রচারের মাধ্যমে বোঝায় কন্ডোম ব্যবহার করলেই যেকোনও অবৈধ সম্পর্কের ছাড়পত্র পাওয়া যায়।``
হর্ষ বর্ধনের এই মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধীরা তো বটেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিতে রীতিমত হাসির খোরাক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য। দেশ জুড়েই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
পড়ে অবশ্য হর্ষ বর্ধন মন্তব্য করেন সংবাদ মাধ্যমে তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই ইএনটি বিশেষজ্ঞ জানান তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন ``কন্ডোম মাঝে মাঝে কাজ করে না। তাই সরকারি স্তরে এইডস বিরোধী প্রচারে রাজ্য সরকার ন্যাশনল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের উচিৎ নিরাপদ যৌনতার জন্য একজন যৌন সঙ্গীর ধারণাকেও তুলে ধরা।``