‘ফেরত পাঠাবেন না, ওরা মেরে ফেলবে’, কেন্দ্রকে কাতর আবেদন দিল্লিতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর

যে ৭ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মেরে ফেলা হবে, আশঙ্কা ওই উদ্বাস্তুর

Updated By: Oct 7, 2018, 09:52 AM IST
‘ফেরত পাঠাবেন না, ওরা মেরে ফেলবে’, কেন্দ্রকে কাতর আবেদন দিল্লিতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর

নিজস্ব প্রতিবেদন:  দেশে ফিরতে চাইছেন না দিল্লিতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা। কারণ মায়ানমারে ফেরত পাঠান হলে তাদের মেরে ফেলা হয়। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজধানীর কালিন্দি ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা।

বৃহস্পতিবারই মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৭ রোহিঙ্গাকে। এরা এতদিন ছিলেন কাছাড় সেন্ট্রাল জেলে। বৃহস্পতিবার এদের মণিপুরের মোরে সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। সেই ৭ রোহিঙ্গা সম্পর্কে ওই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন দিল্লিতে বসবাসকারী ওই রোহিঙ্গা। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ মায়ামারে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত আমাদের ফেরত পাঠাবেন না। যে সাত রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মেরে ফেলা হবে।‘

আরও পড়ুন-৫ রাজ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা, ভোটগ্রহণ শুরু ১২ নভেম্বর

উল্লেখ্য, বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের কারণে ২০১২ সাল থেকে অসমের শিলচরের কাছাড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকা ৭ রোহিঙ্গাকে বুধবার বাসে চাপানো হয়। এরপর সীমান্তে মায়ানমার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। অসম পুলিসের ডিজি ভাস্কর জে মহন্তের কথায়, ''এটা রুটিন প্রক্রিয়া। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠায় পুলিস''। মহম্মদ জামাল, মহবুল খান, জামাল হুসেন, মহম্মদ ইউনূস, সাবির আহমেদ, রহিমউদ্দিন ও মহম্মদ সালাম নামে সাত রোহিঙ্গাকে মায়ানমার সেনার হাতে তুলে দিয়েছে ভারত।

রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রশান্ত ভূষণের বক্তব্য ছিল, মায়ানমারে ১০,০০০ মানুষের গণহত্যা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর সম্পত্তি। ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। তাঁরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নন, বরং শরণার্থী। তিনি আরও বলেন,''ওই সাত রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধিকে আদালত নির্দেশ দিক আদালত। বিষয়টি সাতটি জীবনের। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক আদালত''।

আরও পড়ুন-স্ক্রিনশট ফাঁস, হেনস্থার অভিযোগে বেকায়দায় চেতন ভগত

প্রশান্তভূষণকে পাল্টা বিচারপতিরা বলেন,''আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করার প্রয়োজন নেই আপনার। নিজেদের দায়িত্ব আমরা জানি''। এরপরই আদালত ভূষণের আবেদনটি খারিজ করে দেয়। মায়ানমার সরকার যেহেতু তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, সেহেতু এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না বলে স্পষ্ট জানায় আদালত। তিন বিচারপতির বেঞ্চের পর্যালোচনা, ওই সাতজন বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করে বলে রায় দিয়েছে আদালত। মায়ানমার তাঁদের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি। ওদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত।

.