নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কাশ্মীরে গিলানির বাড়িতে চালু রইল ফোন-ইন্টারনেট, বরখাস্ত ২ বিএসএনএল আধিকারিক
৪ অগাস্ট থেকে টানা ৪ দিন সচল ছিল গিলানির ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। বন্ধ ছিল টেলিফোন-ইন্টারনেট। অথচ রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির বাড়িতে টানা ৪ দিন সচল ছিল ফোন-ইন্টারনেট। কী ভাবে ঘটল এতবড় ঘটনা? তদন্ত নেমে বরখাস্ত করা হয়েছে ২ বিএসএনএল আধিকারিককে।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল! জরুরি বৈঠকে কেজরীওয়াল
উল্লেখ্য, গত ৪ অগাস্ট থেকে বাকী ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় কাশ্মীরকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট, মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা। ৫ অগাস্ট বাতিল করা হয়ে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় এতবড় একটা ঘটনার কথা জানতে পারেননি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ। কিন্তু সেই খবর নিয়মিত পেয়েছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ৪ অগাস্ট থেকে টানা ৪ দিন সচল ছিল গিলানির ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট। এমনটাই দাবি একটি সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলের।
আরও পড়ুন-যুবতীর উপর কাঁচি হাতে হামলা যুবকের, বেলুড় স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের চোখের সামনে ভয়ঙ্কর ঘটনা!
কী ভাবে সামনে এল এতবড় একটি ঘটনা? ব্যাপারটি প্রকাশ্যে চলে আসে গিলানির ভুলেই। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করে বসেন গিলানি। তাতেই টনক নড়ে প্রশাসনের।
ওই ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিস চিঠি লেখে টুইটারকে। সেখানে রাজ্যের ৮ টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল করার কথা বলা হয়। জানানো হয় ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওইসব অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি দুই আধিকারিককেও সাসপেন্ড করে বিএসএনএল।