শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াতেই ফের ৩৪ হাজার সেনসেক্স, নিফটি ছুঁল ১০ হাজার

বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি কারণ দেখতে পাচ্ছেন। প্রথম কারণ হল, খোলা বাজার (ওপেন মার্কেট অপারেশন) থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার সরকারি বন্ড কেনার কথা এ দিন ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

Updated By: Oct 29, 2018, 06:01 PM IST
শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াতেই ফের ৩৪ হাজার সেনসেক্স, নিফটি ছুঁল ১০ হাজার
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: হঠাত্ ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই। গত সপ্তাহে প্রায় ১০০০ পয়েন্ট খুইয়ে ৩৪ হাজারের বেড়া ভেঙেছে সেনসেক্স। নিফটিও কমেছে তিনশোর কাছাকাছি। মুখ ফিরিয়ে বিদেশি লগ্নিকারীরা। ঠিক সেই মুহূর্তে সোমবার মাথা তুলে দাঁড়াল সেনসেক্স। ৭১৮ পয়েন্টে থামে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক। অন্তত এ দিন ৩৪ হাজারের ‘নিয়ন্ত্রণ রেখায়’ বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়। নিফটি ২২১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ১০,২৫১ অঙ্কে বন্ধ হয়েছে।

হঠাত্ কোন জাদুকাঠির স্পর্শে চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার?

বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি কারণ দেখতে পাচ্ছেন। প্রথম কারণ হল, খোলা বাজার (ওপেন মার্কেট অপারেশন) থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার সরকারি বন্ড কেনার কথা এ দিন ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর পরই ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর শেয়ার তড়তড়িয়ে বাড়তে থাকে। আইসিআইসিআই (১০.৬৯%), এসবিআই (৭.৮২%), অ্যাক্সিস (৫.০৮%) ব্যাঙ্কের শেয়ার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ভোগ্যপণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, ওষুধের শেয়ারও বেশ চাঙ্গা থাকে।

আরও পড়ুন- স্বস্তিতে আস্থানা, ১ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার স্থগিতাদেশ বহাল রাখল আদালত

বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করছেন, বিশ্বের শেয়ার মার্কেট চাঙ্গা থাকায় প্রভাব পড়ে ভারতের শেয়ার বাজারেও। ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০, জার্মানির ড্যাক্স, ফ্রান্সের ক্যাকের সূচক ছিল উপরের দিকে। বিদেশি লগ্নীকারিরা এ দিন বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করে বিভিন্ন শেয়ারে। বিশেষ করে তলানিতে পড়ে থাকা ব্যাঙ্কের শেয়ারগুলিতে বিনিয়োগ লক্ষ করা যায়। বিশ্বের বাজারে অশোধিত তেলের দরও ক্রমশ পড়ছে। যা অক্সিজেন জুগিয়েছে শেয়ার বাজারকে। তবে, এ দিনের পারফর্ম্যান্স বিরাট কোহলির মতো ধারাবাহিক রাখতে পারবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও আশঙ্কার মেঘ কাটেনি। চিন-আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধ অব্যাহত। নভেম্বরে ইরানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদেক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বে তেলের চাহিদায় নতুন করে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে ফের উর্ধ্বগামী হবে জ্বালানি তেলের দর।  

.