অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিচারে ১ নার্চের মধ্যে বিশেষ আদালতগুলিকে কাজ শুরুর সুপ্রিম নির্দেশ
দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে ২০১৮-র ৭ মার্চ।
![অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিচারে ১ নার্চের মধ্যে বিশেষ আদালতগুলিকে কাজ শুরুর সুপ্রিম নির্দেশ অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিচারে ১ নার্চের মধ্যে বিশেষ আদালতগুলিকে কাজ শুরুর সুপ্রিম নির্দেশ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/12/14/102271-supreme-courtreuters.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বকেয়া মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিশেষ আদালত গঠনের প্রস্তাব রেখেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আগামী বছরের ১ মার্চের মধ্যে সেই বিশেষ আদালতের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় দাখিল করা মনোনয়নপত্র অনুযায়ী, সারা দেশে বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার মোট সংখ্যা ১৫৮১। বকেয়া এই মামলাগুলির দ্রুত মীমাংসা করার জন্য কেন্দ্রকে পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানায় বকেয়া মামলাগুলিকে এক বছরের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য অবিলম্বে ১২টি বিশেষ আদালত প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সেই বিশেষ আদালত গঠনের আবেদনেই সম্মতি দিল শীর্ষ আদালত।
একইসঙ্গে বিশেষ আদালত গঠনের জন্য কেন্দ্রকে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১২টি বিশেষ আদালতের মধ্যে ২টি বিশেষ আদালতে ২২৮ জন সাংসদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিচার হবে। বাকি ১০টি বিশেষ আদালত তৈরি হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে ৬৫ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন, 'হুজুর সময় দিন', উত্তর খুঁজে না পেয়ে আর্জি 'নার্ভাস' রেজিস্টার জেনারেলের
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যে যে রাজ্যে বিশেষ আদালত গঠন করা হবে, সেই রাজ্যের হাইকোর্টের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই সেগুলি কাজ করবে। তবে দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে ২০১৮-র ৭ মার্চ। সেদিনই এই বিষয়ে ফের শুনানি হওয়ার কথা।