উত্তরাখণ্ডে আস্থাভোটে হরিশ রাওয়াতকে জয়ী ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের, রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার কেন্দ্রের
উত্তরাখণ্ডে আস্থাভোটে শেষ হাসি হাসলেন হরিশ রাওয়াতই। বজায় রইল হাতের শাসন। আস্থা ভোটে কংগ্রেসের পক্ষে পড়ে ৩৩টি ভোট, বিজেপি পেয়েছে ২৮। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের ক্ষমতায় হরিশ রাওয়াত সরকার। জারি থাকছে না রাষ্ট্রপতি শাসনও। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার পরই, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার ফের হাতে নেবেন হরিশ রাওয়াত।
ওয়েব ডেস্ক : উত্তরাখণ্ডে আস্থাভোটে শেষ হাসি হাসলেন হরিশ রাওয়াতই। বজায় রইল হাতের শাসন। আস্থা ভোটে কংগ্রেসের পক্ষে পড়ে ৩৩টি ভোট, বিজেপি পেয়েছে ২৮। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের ক্ষমতায় হরিশ রাওয়াত সরকার। জারি থাকছে না রাষ্ট্রপতি শাসনও। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার পরই, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার ফের হাতে নেবেন হরিশ রাওয়াত।
গতকাল আস্থাভোট-পর্ব মিটে গেলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ হল আজ। ফলবন্দি খাম খোলা হয় সর্বোচ্চ আদালতে। উত্তরাখণ্ড বিধানসভার মোট আসন ৭০। আদালতের নির্দেশে কংগ্রেসের ৯ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ভোট দিতে পারেননি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৬১ জন বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ছিল ৩১। সেখানে ৩৩টি ভোট ঝুলিতে নিয়ে চওড়া হাসি কংগ্রেসের মুখে।
উত্তরাখণ্ডে আস্থা ভোটে কংগ্রেসের জয়ের পরই, সরাসরি মোদী সরকারকে টার্গেট করলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সহ সভাপতির মন্তব্য, "শেষপর্যন্ত জয়ী গণতন্ত্র। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের হত্যা সহ্য করবে না। বিজেপির পক্ষে যতটা খারাপ করার ছিল তারা তা করেছে। কংগ্রেস শুধু তা রোখার সব চেষ্টা করেছে। মোদীজি এর থেকে শিক্ষা নেবেন এটাই আশা।" কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এই জয়কে "মানুষের জয়" বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে, জয়ের পর হরিশ রাওয়াত ধন্যবাদ জানান, নিজের দলের ও পিডিএফ, ইউকেডি, বিএসপি এবং সকল নির্দল বিধায়কদের। একইসঙ্গে পুরনো সব তিক্ততা, রাজনৈতিক শত্রুতা ভুলে একসঙ্গে
কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। জয়ের জন্য 'বিজেপি বন্ধুদের' ধন্যবাদও জানান রাওয়াত।