Maharashtra Politics: আর্থার রোড জেলে প্রতিবেশী অনিল-সঞ্জয়-নবাব! কেমন আছেন তাঁরা?
কারাগারের অন্যান্য বন্দিদের মতোই এই তিন নেতাও প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকার মানি অর্ডার পাচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে তারা কারাগারের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। সঞ্জয় রাউতকে, ১ অগস্ট ইডি গ্রেফতার করে। পাত্র চলের জমি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এনসিপি নেতা নবাব মালিককে ইডি গ্রেফতার করে সম্পত্তি চুক্তির জন্য। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের অভিযোগে দেশমুখকে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা অনিল দেশমুখ এবং নবাব মালিক এবং শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এরা প্রত্যেকেই এই মুহুর্তে ইডির হাতে বন্দি। এই তিন নেতাকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতার করেছে। তারা এখন তিনটি ভিন্ন ব্যারাকে আর্থার রোড জেলে বন্দী রয়েছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এই তিন নেতাকে আর্থার রোড কারাগারের আলাদা সেলে রাখা হয়েছে এবং তাদের ব্যারাকে টিভি, ক্যারাম, বই সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও, মানি লন্ডারিং মামলায় ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার হওয়া মালিক বর্তমানে কুরলার ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন। গত দুই মাস ধরে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
কারাগারের অন্যান্য বন্দিদের মতোই এই তিন নেতাও প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকার মানি অর্ডার পাচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে তারা কারাগারের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।
সঞ্জয় রাউত
সঞ্জয় রাউতকে, ১ অগস্ট ইডি গ্রেফতার করে। পাত্র চলের জমি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এখন আন্ডার ট্রায়াল নম্বর ৮৯৫৯ হিসাবে আর্থার রোড জেলে বন্দী তিনি। নিরাপত্তার কারণে রাউতকে একা আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে।
জেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার দাবি অনুযায়ী তাকে নোটবুক এবং কলম দেওয়া হয়েছে। পড়ার জন্য জেলের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়েছেন তিনি। তিনি বই লিখলেও তার লিখিত কাজ কারাগারের সীমানার মধ্যেই থাকবে এবং তা বাইরে যেতে পারবে না।
মুম্বই আদালত অনুমতি দেওয়ায় শিবসেনা সাংসদ কারাগারে ঘরে তৈরি খাবারও পাচ্ছেন। ৮ অগস্ট, রাউতকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। তারপর থেকে, রাউত আর্থার রোড কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: India@75: ছেলেবেলায় বিচ্ছিন্ন দুই ভাইকে ৭৫ বছর পরে মিলিয়ে স্বাধীনতা ৭৫-ই!
নবাব মালিক
এনসিপি নেতা নবাব মালিককে ইডি গ্রেফতার করে সম্পত্তি চুক্তির জন্য। গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীদের সঙ্গে জড়িত একটি সম্পত্তি চুক্তির জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনি আর্থার রোড জেলের ৪৬২২ নম্বর বন্দী। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মালিককে হেফাজতে রাখা হয়েছে, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তাকে বর্তমানে কুরলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
আদালত মালিককে আর্থার রোড কারাগারে বিছানা ও চেয়ার ব্যবহারের অনুমতি দেয় এবং তাকে বাড়িতে রান্না করা খাবার খেতেঅ অনুমতি দেওয়া হয়। তাকেও আলাদা সেলে রাখা হয়েছে এবং টিভি, ক্যারাম, বইয়ের মতো জিনিস দেওয়া হয়েছে।
অনিল দেশমুখ
উল্লেখযোগ্যভাবে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ, আর্থার রোড জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি সেখানে ২২২৫ নম্বর বন্দী। দেশমুখ গত নয় মাস ধরে আর্থার রোড জেলে বন্দী।
মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিং তার বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে দেশমুখকে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়।
মালিক এবং রাউতের মতো, আদালত দেশমুখের জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবারের অনুমতি দেয়নি। এর ফলে তাকে জেলে দেওয়া খাবার খেতে হয়। কিন্তু তার আলাদা ব্যারাকে একটি বিছানা, ক্যারাম ও টিভি দেওয়া হয়েছে।