সাহারা কর্তার ৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ
সাহারা কর্তা সুব্রত রায়কে চৌঠা মার্চ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল লখনউ সিজেএম আদালত। চৌঠা মার্চ সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হবে সুব্রত রায়কে। সিজেএম আদালতে সাহারা গোষ্ঠীর দাবি, লগ্নিকারীদের বকেয়া রয়েছে মাত্র দুহাজার কোটি টাকা। আজ সকালেই আত্মসমর্পণ করেন সুব্রত রায়। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সাহারা কর্তা সুব্রত রায়কে চৌঠা মার্চ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল লখনউ সিজেএম আদালত। চৌঠা মার্চ সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হবে সুব্রত রায়কে। সিজেএম আদালতে সাহারা গোষ্ঠীর দাবি, লগ্নিকারীদের বকেয়া রয়েছে মাত্র দুহাজার কোটি টাকা। আজ সকালেই আত্মসমর্পণ করেন সুব্রত রায়। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আত্মসমর্পণ না গ্রেফতার। শুক্রবার সকাল থেকে সেই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল লখনউয়ের সাহারা সিটিকে কেন্দ্র করে। কারণ, গত দুদিন ধরে প্রাসাদোপম বাড়ি ঘিরে রেখেও সাহারা কর্তার হদিশ পায়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিস। অথচ, বুধবারই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে কি গ্রেফতারি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সুব্রত সাহারা রায়?
লগ্নিকারীদের কুড়ি হাজার কোটি টাকা ফেরত না দেওয়ায় বুধবার সাহারা কর্তাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এরপরই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিস। শেষপর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেন সুব্রত রায়।
আত্মসমর্পণের পর গ্রেফতার। অথচ, লখনউ সিজেএম আদালতে নিজের বিলাসবহুল গাড়িতেই চড়েই গেলেন সুব্রত রায়। শুক্রবার আদালতে তাঁর আর্জি ছিল শুনানির সময় বাড়িতেই থাকতে চান সাহারাশ্রী। অন্যদিকে, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। চৌঠা মার্চ সুপ্রিম কোর্টে সাহারা কর্তাকে পেশ করতেই এই আবেদন জানানো হয় পুলিসের তরফে। কিন্তু, শুনানি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা স্থগিত করে দেন বিচারক। সংবাদমাধ্যম এবং অন্য সকলকে আদালত চত্বর থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন বিচারক। শেষপর্যন্ত অবশ্য উত্তরপ্রদেশ পুলিসের আবেদনেই সাড়া দিয়েছে আদালত। এদিকে, আদালতে সাহারা গোষ্ঠীর দাবি লগ্নিকারীদের দুহাজার কোটি টাকাই বকেয়া রয়েছে। কুড়ি হাজার কোটি টাকা নয়। একই সঙ্গে সেবির বিরুদ্ধে নথি সঠিকভাবে পরীক্ষা না করার অভিযোগও তুলেছে সাহারা গোষ্ঠী।