১,২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শঙ্করাচার্য পদে বসতে পারেন সাধ্বী
উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য পদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন নেপালের বাসিন্দা সাধ্বী হেমানন্দ গিরি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমবার শঙ্করাচার্য পদে বসতে পারেন এক মহিলা। আর তা ১,২০০ বছর পর ইতিহাস তৈরি হবে ভারতভূমে। উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য পদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন সাধ্বী হেমানন্দ গিরি। আদতে নেপালের বাসিন্দা তিনি। ২০০ জন আবেদনকারীর মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে তাঁর নাম।
অষ্টম শতকে চারটি পীঠ স্থাপন করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। বর্তমানে চারটি পীঠে শঙ্করাচার্যদের নিয়োগ করে সাধুদের সংগঠন ভারত ধর্ম মহামণ্ডল ও কাশী বিদ্বাতপরিষদ। এক্ষেত্রে আদি শঙ্করাচার্যের বই মহানুশাসন বা মঠম্নায়ে লিখিত নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়।
আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায় সংস্কৃত পড়ানোর প্রস্তাব, মানতে আপত্তি নেই বোর্ডেরও
আগে নিজের উত্তরসূরীকে বেছে নিতেন শঙ্করাচার্যরা। তবে ১৯৫৩ সালে হাইকোর্টের নির্দেশের পর দু'টি সংগঠন এই দায়িত্ব পায়। উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের জন্য ২০০টি আবেদনের মধ্যে ৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে নতুন শঙ্করাচার্যকে। ধর্ম মহামণ্ডল সূত্রে খবর, নেপালের গৌরীগঞ্জের বৈদিক সূর্য শিবায় মঠের প্রধান সাধ্বী হেমানন্দ গিরি। এলাহাবাদের বিখ্যাত জুনা আখাড়ার সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। তবে কোনও মহিলা শঙ্করাচার্য পদে বসতে পারেন কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।