হরিয়ানায় সিবিএসই-র শীর্ষ স্থানাধিকারীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত সেনা জওয়ান গ্রেফতার
রিওয়ারি গণধর্ষণে অভিযুক্তরা সবাই এখন পুলিসের জালে
নিজস্ব প্রতিবেদন: হরিয়ানার রিওয়ারিতে সিবিএসই-র শীর্ষস্থানাধীকারী ছাত্রীর ঘর্ষণের ঘটনা গ্রেফতার সেনা জওয়ান পঙ্কজকে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে পঙ্কজের সঙ্গীকে মণীষকে।
হরিয়ানার ডিজিপি বিএস সান্ধু জানিয়য়েছেন সেনা জওয়ান পঙ্কজ ও তার সঙ্গী মণীষের গ্রেফতারের সঙ্গে রিওয়ারির ছাত্রীর গণধর্ষণে অভিযুক্ত সবাইকেই গ্রেফতার করা হল। এর আগে নিশু নামে পঙ্কজের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিশুই ছাত্রীটিকে অপহরণ ও ধর্ষণের পরিকল্পনা করেছিল।
উল্লেখ্য, রিয়ারির ওই ছাত্রী সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন। পুরস্কার নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। ফলে গত ১২ সেপ্টেম্বর এহেন এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে।
আরও পড়ুন-চলে গেলেন 'রুদালি'র নির্মাতা কল্পনা
ঘটনার পরই অভিযুক্তদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয় পুলিস। পুলিস ৩ অভিযুক্তের ছবিও প্রকাশ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল এলাকারই মণীষ, নিসু ও পঙ্কজ নামে তিন যুবক। ওই তিনজনের মধ্যে পঙ্কজ সেনাবাহনীতে কর্মরত।
অভিযুক্তদের খুব তাড়াতাড়ি নাগাল পাওয়া যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন হরিয়ানার ডিজিপি এস সান্ধু। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্যাতীতার অভিযোগ নিতে পুলিসের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযুক্তদের সম্পর্কে খবর দেওয়ার আবেদন জানান পুলিস সুপার নাজনিন ভাসিন। নির্যাতীতার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিসের একাধিক দল গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন-ইসলামপুরে নিহত ২ ছাত্রের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী-বিধায়ক
প্রসঙ্গত, ১২ সেপ্টেম্বর কোচিং থেকে ঘরে ফিরছিলেন এই কৃতী ছাত্রী। রাস্তায় তার পথ আটকায় একটি গাড়ি। গাড়িতে থাকা তিনজন তাঁকে তুলে নেয় ও নিকটবর্তি একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সবাই তার গ্রামের বাসিন্দা।
নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সারে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে ক্ষোভে যন্ত্রণায় কাতর ছাত্রীটির মা সংবাদমাধ্যে বলেন, "আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিস এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি"।