২৫ ফুট বরফের তলায় ৬ দিন চাপা থাকার পর বেঁচে ফিরলেন মৃত্যুঞ্জয়ী হনুমান্থ
জীবনী শক্তির কাছে হার মানল মৃত্যু। সিয়াচেনে পঁচিশ ফুট বরফের তলায় টানা ছদিন চাপা থাকার পরও বেঁচে ফিরলেন ল্যান্সনায়ের হনুমান্থ কোপ্পাড়। আশ্চর্য রক্ষা মানছে গোটা দেশ। এই মুহুর্তে নয়াদিল্লির R R হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে হনমান্থের।
ওয়েব ডেস্ক: জীবনী শক্তির কাছে হার মানল মৃত্যু। সিয়াচেনে পঁচিশ ফুট বরফের তলায় টানা ছদিন চাপা থাকার পরও বেঁচে ফিরলেন ল্যান্সনায়ের হনুমান্থ কোপ্পাড়। আশ্চর্য রক্ষা মানছে গোটা দেশ। এই মুহুর্তে নয়াদিল্লির R R হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে হনমান্থের।
সিয়াচেন হিমবাহ
উচ্চতা ১৯,৬০০ ফুট
তাপমাত্রা -৪০ডিগ্রি
মৃত্যুর হিম শীতল হাতছানিকে হারিয়ে জিতে গেল প্রাণ। টানা ছদিন পঁচিশ ফুট বরফের তলায় চাপা পড়ে থাকার পরও বেঁচে ফিরলেন ভারতীয় সেনার ল্যান্সনায়েক হনমান্থাপা কোপ্পাড়।
আশ্চর্য উদ্ধার!
নয় সেনা জওয়ানের সঙ্গেই সিয়াচেনের সেনাচৌকিতে ডিউটি করছিলেন ল্যান্সনায়েক হনমান্থাপা। গত বুধবার আচমকাই নেমে আসে তুষার ধস। পুরো সেনা চৌকিটাই চাপা পড়ে যায় পঁচিশ ফুট বরফের তলায়। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষার ঝড় উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। পাঁচদিনে পাঁচজনে দেহ উদ্ধারের পর আশা ছেড়ে দেয় সেনাও। দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কিন্তু, রাখে হরি মারে কে...সোমবার পঁচিশ ফুট বরফের তলায় মিলল প্রাণের স্পন্দন।
মৃত্যুঞ্জয়!
সোমবার রাতের দিকে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিল সেনার একটি দল। বরফ কাটতে কাটতে আচমকাই এককিলোমিটার চওড়া বরফের চাঁইয়ের তলায় হনুমন্থের সন্ধান পান তাঁরা। ক্ষীণ হলেও তখনও শরীরে নাড়িস্পন্দন স্পষ্ট। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তড়িঘড়ি তাঁকে উড়িয়ে আনা হয় দিল্লি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় RR হাসপাতালে।
উচ্ছ্বসিত পরিবার
হনুমন্থের বেঁচে ফেরার খবরে খুশির হাওয়া কর্নাটকের ধারওয়ারে। ছেলেকে আবার দেখতে পাবেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না বাবা। চমত্কৃত খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। হনুমন্থকে দেখতে এদিন হাসপাতালে পৌছে যান প্রধানমন্ত্রী। সেনার পদস্থ কর্তারাও হনুমন্থের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন। ছদিনের লড়াইয়ে হনুমন্থের কাছে হার মেনেছে মৃত্যু। এবার লড়াই জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার। সঙ্গী গোটা দেশ। শিগগির সুস্থ হয়ে উঠুন হনুমন্থ। শুভেচ্ছা রইল আমাদেরও।