সুরলোকের যাত্রায় সুরের জাদুকর

চলে গেলেন সেতারের জাদুকর পণ্ডিত রবিশঙ্কর। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটেতে আমেরিকার সান ডিয়েগোতে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। গত বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে লা জোলার স্ক্রিপস মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন বারের গ্র্যামি জয়ী এই সেতার বাদকের হাত ধরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পশ্চিমে পদার্পণ করে। এবছরও গ্র্যামিতে মনোনীত হন তিনি।

Updated By: Dec 12, 2012, 10:00 AM IST

মারা গেলেন কিংবদন্তী সেতারশিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্কর। বয়স হয়েছিল বিরানব্বই বছর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোর এক হাসপাতালে ভারতীয় সময় আজ সকাল ছটায় মৃত্যু হয় তাঁর। গত বৃহস্পতিবার থেকে চিকিত্সার জন্য সেখানে ভর্তি ছিলেন তিনি।
১৯২০-র ৭ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে জন্মগ্রহণ করেন ছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। প্রথম জীবনে নাম ছিল রবীন্দ্রশঙ্কর চৌধুরী। মাত্র দশ বছর বয়সে দাদা উদয়শঙ্করের ব্যালে ট্রুপে যোগ দিয়ে ইউরোপ সফর করেছিলেন তিনি। ১৯৩৮-এ নর্তকের  জীবন শেষ করে যন্ত্রসঙ্গীতের তালিম নিতে শুরু করেন। মাইহার ঘরানায় শাস্ত্রীর সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন প্রখ্যাত সেতারশিল্পী উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর কাছে। প্রিয় ছাত্র রবিশঙ্করকে ধ্রুপদ, ধামার ও খেয়ালের তামিল দিয়েছিলেন উস্তাদ আলাউদ্দিন।
সঙ্গীতশিক্ষা শেষে ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সেই সারে জাঁহাতে আচ্ছা গানটিতে নতুন করে সুরারোপ করে সাড়া ফেলে দেন তিনি। সাত বছর তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওর ডিরেক্টর ছিলেন। সত্যজির রায়ের পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও অপুর সংসার, এই তিনটি ছবিরও সুরকার ছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এর বাইরেও মৌলিক সুরসৃষ্টির জন্য দেশ বিদেশের সঙ্গীতজগতের বহু সম্মান পান তিনি। রবিশঙ্কর সঙ্গীত জগতের সর্বশ্রেষ্ট পুরস্কার গ্র্যামি জিতেছেন তিনবার। ১৯৯৯ সালে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন। সাম্প্রতিক অ্যালবামের জন্য চতুর্থবার গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। কিন্তু ফল ঘোষণার আগেই মারা গেলেন তিনি।

.