আস্থাভোটে ইয়েদুরাপ্পা জয়ী হতেই স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা রমেশ কুমারের

গতকাল স্পিকার রমেশ কুমার দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১৪ বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধায়ক পদ বাতিল করেন। এর আগে আরও ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি

Updated By: Jul 29, 2019, 01:23 PM IST
আস্থাভোটে ইয়েদুরাপ্পা জয়ী হতেই স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা রমেশ কুমারের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রমেশ কুমার। আজ বিধানসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন ইয়েদুরাপ্পারা। তারপরই নিজের চেয়ার থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেসের শ্রীনিবাস কেন্দ্রের বিধায়ক রমেশ কুমার। গত এক মাস ধরে চলা কর্নাটক নাটকে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন রমেশ কুমার। বিদ্রোহী বিধায়করা স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র দিতে গেলে কয়েকজনের ইস্তফাপত্র বাতিল করে দেন তিনি। নতুন ভাবে ইস্তফাপত্র দেওয়া হলেও সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেন স্পিকার। তাঁর যুক্তি, সংবিধান মেনেই খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ইস্তফাপত্র। বলপূর্বকভাবে ইস্তফা দেওয়া হয়েছে কিনা তা দেখা হবে।

এরপর স্পিকারের বিরুদ্ধে গরিমসির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন বিদ্রোহী বিধায়করা। কিন্তু আদালতের কাছে স্পিকারের স্পষ্ট যুক্তি, তাঁদের ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে। এর পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা রাতারাতি খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। কার্যত স্পিকারের যুক্তি মেনেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিধায়কদের ইস্তফার বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, জোর করে বিধানসভায় বিদ্রোহী বিধায়কদের উপস্থিত করানো যাবে না।

আরও পড়ুন- ভারতই বাঘেদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আবাসস্থল, আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে বললেন মোদী

উল্লেখ্য, গতকাল স্পিকার রমেশ কুমার দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১৪ বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধায়ক পদ বাতিল করেন। এর আগে আরও ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে পথ আরও সুগম হয় বিজেপির। অন্য দিকে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোটের সরকার গড়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।

প্রসঙ্গত, স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া ওই ১৭ জন আগামী চার বছরে মন্ত্রী হওয়া তো দূর ভোটে লড়ার ক্ষমতা হারালেন। এর জন্য স্পিকারকে সাধুবাদ জানান কংগ্রেস-জেডিএস নেতারা। সিদ্দারামাইয়া বলেন, লোভী রাজনীতিকদের জন্য কড়া বার্তা পৌঁছল। স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি হল বলে মনে করছেন জেডিএস নেতারা।

.