`কালিমালিপ্ত` রামদেব
যোগগুরু রামদেবকে লক্ষ্য করে কালো কালি ছুঁড়লেন কামরান সিদ্দিকি এক ব্যক্তি।
সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণের পর এবার হেনস্থার স্বীকার যোগগুরু রামদেব। প্রথম জন শক্তিশালী লোকপাল বিলের দাবিতে আন্না হাজারের আন্দোলনের সঙ্গী। দ্বিতীয় জনের আন্দোলনের ইস্যু কালো টাকা। শনিবার যোগগুরু রামদেবকে লক্ষ্য করে কালো কালি ছুঁড়লেন কামরান সিদ্দিকি এক ব্যক্তি। এদিন কালো টাকা ও দুর্নীতি বিষয়ে তাঁর ভবিষ্যত্ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন রামদেব। হঠাত্ই তাঁকে লক্ষ্য করে কালো কালি ছোড়েন সিদ্দিকি। কালি লাগে রামদেবের বাঁ চোখের তলায়। এরপরই রামদেবের সমর্থকরা সিদ্দিকে ধরে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। ক্ষুব্ধ রামদেব সমর্থকদের হাত থেকে উদ্ধার করে সিদ্দিকিকে থানায় নিয়ে পুলিস।
জেরার মুখে সিদ্দিকি জানান, তাঁর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে, এবং তিনি বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলার অন্যতম আবেদনকারী। সিদ্দিকির দাবি, তিনি যা করেছেন ঠিকই করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলা নিয়ে রামদেবের মতামত জানতে চান সিদ্দিকি। প্রশ্নটি এড়িয়ে যান রামদেব। এরপরই রামদেবকে লক্ষ্য করে কালো কালি ছোড়েন তিনি। রামদেবের সমর্থকদের মারধরের ফলে ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে সিদ্দিকির।
যোগগুরুর সমর্থকদের দাবি, নিরপত্তাকর্মী সেজে রামদেবের সাংবাদিক সম্মেলনে ঢোকেন সিদ্দিকি। তাঁর কাছ থেকে একটি অ্যাসিডের বোতল পাওয়া গিয়েছে। কালি নিক্ষেপের ঘটনায় কংগ্রেসের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করে রামদেবের সমর্থকরা। এদিনের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রামদেব জানিয়েছেন, সত্যের জন্য লড়াইয়ের দাম দিতে হয়। `কালো টাকা দেশে ফেরাতে বলে নিজেই কালো কালি মেখে ফেললাম`, আক্ষেপ যোগগুরুর। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস।