কোথায় গেল সুন্দরী রামবারা?
চারদিক ঘন সবুজে ঘেরা। পাশেই কুল কুল শব্দে বয়ে চলেছে ছোট্ট ঝর্ণা। এর মাঝেই এক ফালি ছোট্ট গ্রাম। রামবালা। প্রাকৃতিক সৈন্দর্যে ভরপুর এই গ্রাম বিখ্যাত ছিল কিছুটা অন্য কারণে। কেদারনাথ থেকে গৌরীকুণ্ড ফেরার পথে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের সেরা ঠিকানা ছিল এই রামবালা। আর এখন? জুনের ভয়াবহ বন্যায় এখন আর কিচ্ছু নেই। ১৬-১৭তারিখের প্রবল জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে গেছে রামবালার শেষ চিহ্নটুকু।
চারদিক ঘন সবুজে ঘেরা। পাশেই কুল কুল শব্দে বয়ে চলেছে ছোট্ট ঝর্ণা। এর মাঝেই এক ফালি ছোট্ট গ্রাম। রামবারা। প্রাকৃতিক সৈন্দর্যে ভরপুর এই গ্রাম বিখ্যাত ছিল কিছুটা অন্য কারণে। কেদারনাথ থেকে গৌরীকুণ্ড ফেরার পথে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের সেরা ঠিকানা ছিল এই রামবারা। আর এখন? জুনের ভয়াবহ বন্যায় এখন আর কিচ্ছু নেই। ১৬-১৭তারিখের প্রবল জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে গেছে রামবারার শেষ চিহ্নটুকু।
এখন সেখানে শুধুই শ্মশানের শূন্যতা। নাহ! শ্মশানও বোধহয় এতটা শুন্য এতটা নিঃসঙ্গ হয় না।
কেদারনাথ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে, ২৫৯১ মিটার উচ্চতায় একসময় গমগম করত এই জনপদ। ১০০-১৫০ টা দোকান, আর খান পাঁচেক হোটেল সদাব্যস্ত থাকত অতিথিদের সেবায়। কিন্তু মন্দাকিনীর রোষ গ্রাস করেছে গোটা রামবালার অস্তিত্বটাকেই।
ঠিক কতজন মারা গেছেন রামবালাতে? অনুমান করতেও ভয় পাচ্ছেন সবাই।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুন সন্ধে ৬টা ১৫ নাগাদ মন্দাকিনীর জলতল সুনামির মত ফুলেফঁপে ওঠে। পাগলী নদীর করাল গ্রাস কিছুক্ষণের মধ্যেই গিলতে শুরু করে রামবারাকে। দূরন্ত নদী এখনও শান্ত হয়নি। তার অতল গহ্বরে কোথায় হারিয়ে গেছে একদা প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছোট্ট জনপদ রামবালা।