রামের সার্টিফিকেট পেয়েও `শিবের` কাঁটা ফুটল মোদীর
একদিনের দুটো ঘটনা। আর এতে কখনও ফ্রন্টফুটে আবার কখনও ব্যাকফুটে চলে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সভাপতি হিসাবে রাজনাথের প্রত্যাবর্তনের পর, অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে মোদী অনেকটা এগিয়ে যাবেন। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা রাম জেঠমালানির কথাতেও সেই সুরই প্রকাশ পায়। মোদীর সবচেয়ে বড় `ডিসঅ্যাডভান্টেজ` ধর্ম নিরপেক্ষতার ইস্যুতে একেবারে সবুজ কার্ড দেখিয়ে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য আমি মোদীর পাশে আছি। আমার কাছে ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা হলেন মোদী।"
একদিনের দুটো ঘটনা। আর এতে কখনও ফ্রন্টফুটে আবার কখনও ব্যাকফুটে চলে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সভাপতি হিসাবে রাজনাথের প্রত্যাবর্তনের পর, অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে মোদী অনেকটা এগিয়ে যাবেন। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা রাম জেঠমালানির কথাতেও সেই সুরই প্রকাশ পায়। মোদীর সবচেয়ে বড় `ডিসঅ্যাডভান্টেজ` ধর্ম নিরপেক্ষতার ইস্যুতে একেবারে সবুজ কার্ড দেখিয়ে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য আমি মোদীর পাশে আছি। আমার কাছে ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা হলেন মোদী।"
কিন্তু এত বড় সার্টিফিকেট পাওয়ার দিনেই বড় কাঁটা বিঁধল গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে। একইদিনে, সুমষা স্বরাজে শিবসেনার প্রধানমন্ত্রী দর্শনে বিজেপির মধ্যের ফাটল চওড়া হল। মোদীকে ২০১৪-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বিবাদ কম নেই। এরই মধ্যে বিজেপির বিক্ষুদ্ধ তথা মোদী দরদি নেতা রাম জেটমালানি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে দলের মুখ করার জন্য সওয়াল করলেন। ধর্মনিরপেক্ষতা পরীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীকে ১০০ শতাংশ নম্বর দিয়েছেন প্রবীণ এই নেতা।
দল বিরোধী মন্তব্য, স্পষ্টবাদী নেতা হিসাবে বরাবরই শিরোনাম কুড়িয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা রাম জেঠমালানি। দিল্লিতেও শক্ত ঘাঁটি তৈরি করা এই নেতা আরও একধাপ এগিয়ে দাবি করেন শুধু তিনিই নন, মোদীর পাশে রয়েছে গোটা দেশ।
এর আগে শিবসেনার তরফে লোকসাভর বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজকেই প্রধানমন্ত্রী পদপার্থী হিসাবে তুলে ধরা হয়। গতকাল বিজেপির আরেক তাবড় নেতা যশবন্ত সিং মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার কথা ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, "আমরা মনে করি সুষমা স্বরাজই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য।"
যদিও সুষমার পক্ষে শিবসেনার ঝোল টানা সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি রাম জেঠমালানি। লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে এনডিএর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে শরিকি মতবিরোধ ততই জোরাল হচ্ছে। তারমধ্যে মোদীকে নিয়ে যশবন্ত সিংয়ের কালকের মন্তব্যের পর আজ জেঠমালানি ও রাউতের অবস্থান স্পষ্টকারী মতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল।
নিতিন গড়করির বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে সভাপতিত্ব খোয়াতে হয়েছে। রাজনাথকে বিজেপির রাজ সিংহাসনে বসিয়ে কোনও রকমে মুখ রেখেছে সংঘও। সব কিছু ছাপিয়ে খোদ মোদীর মত, তিনি দলে বড় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। রাজনীতির সামালোচকদের ব্যাখ্যা, ২০১৪ যে রাহুল বনাম মোদী হতে চলেছে এই ইঙ্গিতই স্পষ্ট হয়েছে মোদীর বয়ানে।