সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের

সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহেরশিকে নির্দেশ দিলেন রাজনাথ সিং। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে ১০ নং জাতীয় সড়ক যাতে অবরুদ্ধ না থাকে সেদিকে নজর রাখতে। গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করে পবন চামলিংয়ের এই চিঠির পরই জটিল হয় পরিস্থিতি।

Updated By: Jul 9, 2017, 09:31 PM IST
সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের

ওয়েব ডেস্ক: সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহেরশিকে নির্দেশ দিলেন রাজনাথ সিং। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে ১০ নং জাতীয় সড়ক যাতে অবরুদ্ধ না থাকে সেদিকে নজর রাখতে। গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করে পবন চামলিংয়ের এই চিঠির পরই জটিল হয় পরিস্থিতি। সমতল থেকে সিকিমমুখী গাড়িতে শুরু হয় হামলা। ভৌগলিক দিক থেকে দেখলে ১০ নং জাতীয় সড়ক সিকিমের লাইন লাইন। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ৫০ কিলোমিটার এরাজ্যের মধ্যে পড়ে।এই অংশ দিয়েই সমতল থেকে সিকিম ওঠে সবজি-ওষুধ-জ্বালানি বোঝাই ট্রাক।চামলিংয়ের চিঠির পরই বিক্ষোভ শুরু করে আমরা বাঙালি ও বাকি কয়েকটি সংগঠন। আটকে দেওয়া হয় সিকিমমুখী পণ্যবাহী একাধিক ট্রাক। সমতলে নামতে বাধা দেওয়া হয় সিকিম টুরিজমের গাড়িও। ভাঁড়াড়ে টান পড়তেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ফোন করেন পবন চামলিং। সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। রাজনাথকে বলেন সিকিমে খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে।সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়েই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র।সমস্যা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহেরশিকে নির্দেশ রাজনাথ সিংয়ের।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ১০ নং জাতীয় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করার নির্দেশ।১০ নং জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সিকিম নিয়ে এইমুহুর্তে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। ডোকা লা-তে  চিনা সেনার অনুপ্রবেশে যথেষ্ট অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি। সিকিম নিয়ে কোনও রকমের গড়িমড়ি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ হিসাবে দেখা দিতে পারে। তাই, চামলিংয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে তড়িঘড়ি সমস্যা মেটাতে মরিয়া মোদী-রাজনাথরা। আর কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে খুশি গুরুং অ্যান্ড কোম্পানিও।

আরও পড়ুন রাতের বাজারে পুলিস নয়, টহল দিচ্ছে গণ্ডার!

প্রশাসনের যুক্তি, সিকিমের মাধ্যমেই মোর্চা ও পাহাড়ের অন্যান্য দলের কাছে রসদ পৌছচ্ছে। কেন্দ্র এনিয়ে পদক্ষেপ করায় ঘুরপথে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকারীরাই বাড়তি অক্সিজেন পাবে।সিকিমকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গৌতম দেব।গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের মাসখানেকের পরও কেন্দ্রের মুখে কলুপ। আর ঠিক তখনই সিকিমের আবেদনে রাজনাথের সাড়া ও তড়িঘড়ি ব্যবস্থা  নেওয়া কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের।

আরও পড়ুন  লালু প্রসাদের বাড়িতে CBI রেড নিয়ে বিহার সরকারকে কিছু জানানো হয়নি : নীতীশ কুমার

.