Kota Students Suicide Cases: '২ মাস পরীক্ষা বন্ধ রাখুন', পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় নির্দেশ রাজ্য সরকারের
কোটার জেলা কালেক্টর ওম প্রকাশ বুনকার কোচিং সেন্টারগুলিকে আগামী দু'মাস কোনওরকম পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোটায় আত্মহত্য়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাজস্থানের কোটায় আরও দু'জন ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার জেলা প্রশাসন কোচিং সেন্টারগুলিতে পরীক্ষা কার্যক্রম দু'মাসের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। রবিবার দুই NEET পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার কথা জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এই বছর সেখানে আত্মঘাতীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪।
আরও পড়ুন, Madhya Pradesh: অভিযোগ না তোলায় দলিত যুবককে পিটিয়ে খুন, বিবস্ত্র করা হল মহিলাকে
পরীক্ষা শেষ করে একটি ইনস্টিটিউটের তৃতীয় তলার ঘর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর ১৭ বছরের ওই পড়ুয়াকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিজ্ঞান নগরের সার্কেল অফিসার ধরমবীর সিং জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেই ছাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। নিহত পড়ুয়া আবিষ্কার শাম্বাজি কাসলে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। সে তার দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে তালওয়ান্ডি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। তার মা-বাবা দুজনেই স্কুল শিক্ষক।
Rajasthan | Tests/Examinations at coaching centres in Kota stayed for two months in continuation of "providing mental support and security" pic.twitter.com/RjykseWxiJ
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) August 28, 2023
ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পরে, রবিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ কুন্হাডি থানা এলাকার ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আদর্শ রাজ (১৮) নামে আরও এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাজের বোন ও খুড়তুতো ভাই তার বন্ধ ঘর ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে রাজের কোনও সাড়াশব্দ নেই। প্রায় জ্ঞানহীন অবস্থা। সার্কেল অফিসার (কুনহাডি) কে এস রাঠোর জানিয়েছেন, তখনও শ্বাস নিচ্ছিলেন রাজ কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
আদর্শ রাজ মূলত বিহারের রোহতাস জেলার বাসিন্দা। এক বছর ধরে কোটা কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিল। এনইইটি ইউজি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। সোমবার অভিভাবকদের আসার পর দু'জনেরই ময়নাতদন্ত করা হবে। চলতি মাসে কোটায় মোট ছাত্র আত্মহত্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬।
এরপরই রবিবার জেলাশাসক ওম প্রকাশ বুনকার কোচিং সেন্টারগুলিকে আগামী দু'মাস কোনও পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোটা ভারতের টেস্ট-প্রিপ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে, যা বার্ষিক ১০,০০০ কোটি টাকা আয় করে বলে অনুমান করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এবং এনইইটি এবং জেইই-র মতো প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই টেস্ট-প্র্যাপ ইনস্টিটিউটগুলিতে যোগ দেওয়ার জন্য দশম শ্রেণি শেষ করার পরে এখানে চলে আসে।
আরও পড়ুন, GharJamai: বিবাহিত পুরুষকে ঘরজামাই হতে চাপ দেওয়া নিষ্ঠুরতা, বলে দিল আদালত...
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)