কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড়ে বাদ গেহলত, রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে রিপোর্ট চাইলেন সনিয়া
দলের সভাপতির পদের দৌড়ে পিছিয়েই পড়ছেন গেহলত। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আচরণ করছিলেন তা দলীয় নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখেনি। বরং এতে সিনিয়র নেতৃত্বের সমস্যা বেড়েছে বলেই দলীয় অন্দর সূত্রে খবর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মরুরাজ্যে ফের নয়া রাজনৈতিক সঙ্কট। দু'দিন ধরে পাইলট-গেহলত টানাপোড়েনের পর এবং দিল্লির ১০ নম্বর জনপথে ম্যারাথন বৈঠকের পর অস্বস্তিতেই রয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। ৩০ সেপ্টেম্বর দলীয় প্রধান নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে রাজ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির। সূত্রের খবর, দলের সভাপতির পদের দৌড়ে পিছিয়েই পড়ছেন গেহলত। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আচরণ করছিলেন তা দলীয় নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখেনি। বরং এতে সিনিয়র নেতৃত্বের সমস্যা বেড়েছে বলেই দলীয় অন্দর সূত্রে খবর।
কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে দলের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন অশোক গেহলত। যদিও ফের তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সচিন পাইলট। তবে কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপরে পাহাড়প্রমাণ চাপ সৃষ্টি করতে ইস্তফা দিতে তৈরি গেহলট শিবিরের ৮০ এর বেশি বিধায়ক। যা নিয়ে রাজস্থানে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে। সেই নির্বাচনে লড়াই করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রতিপক্ষ শশী থারুর। এখন প্রশ্ন উঠেছে অশোক গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি হলে কি তিনি আর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন? এক ব্যক্তির দুটি পদে থাকা যে উচিত নয় তা একপ্রকার জানিয়েই দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কেরালায় ভারত জাগাও যাত্রায় গিয়ে রাহুল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলের উদয়পুর চিন্তন শিবিরে ঠিক হয়েছিল এক ব্যক্তি একই পদে থাকতে পারবেন।