রেল নীর কেলেঙ্কারি: ১০ বছরে আয় ৫০০ কোটি টাকা
এবার নীর কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল রেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার তদন্তে নেমে সিবিআই দিল্লি এবং নয়ডার ১৩টি জায়গাতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির পরে নর্দান রেলের দুজন আধিকারিককে আটক করার সঙ্গে এমন ৭টি বেসরকারি কোম্পানির হদিশ পায়, যারা এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। শ্যাম বিহারী আগারওয়ালের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। হদিশ মেলিছে ৪ লক্ষ টাকা জাল নোটের! গ্রেফতার করা হয় শ্যাম বিহারীকে।
ওয়েব ডেস্ক: এবার নীর কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল রেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার তদন্তে নেমে সিবিআই দিল্লি এবং নয়ডার ১৩টি জায়গাতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির পরে নর্দান রেলের দুজন আধিকারিককে আটক করার সঙ্গে এমন ৭টি বেসরকারি কোম্পানির হদিশ পায়, যারা এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। শ্যাম বিহারী আগারওয়ালের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। হদিশ মেলিছে ৪ লক্ষ টাকা জাল নোটের! গ্রেফতার করা হয় শ্যাম বিহারীকে।
রেলের তরফ থেকে জানা গেছে, আইআরসিটিসি কোনও বেসরকারি ক্যাটারিং সংস্থাকে ১০.৫০ টাকায় রেল নীর সরবরাহ করার কথা বলেছিল। বেসরকারি সংস্থাগুলি যা রাজধানী বা শতাব্দীর মত ট্রেনে ১৫ টাকা মুল্য দিয়ে বিক্রি করবে। কিন্তু শ্যামবাবুর 'আরকে এ্যাসোসিয়েশন এন্ড হোটেলিয়ার্স' একই বোতলে নিম্নমানের জল সরবরাহ করে বেশী মুনাফা লুটতে চেয়েছিল। বাজারে যেই জলগুলির বোতল পিছু মূল্য ৬-৭টাকা। মুনাফা লুটে ১০ বছরে ৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন রেলের জল সরবরাহের কন্ট্রাক্ট প্রাপ্ত শ্যাম বিহারি আগারওয়াল।
আগারওয়াল রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং আরও অনেক নামী ট্রেনে জল সরবরাহ করতেন। দুজন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং পার্টির লোকেদের সঙ্গে যোগসাজস থাকার জন্য রেলের এই কন্ট্রাক্ট পান তিনি।
রেলের দুজন আধিকারিক এমএস চালিয়া এবং সন্দীপ সিলাসের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, 'রেল নীরে'র বিশুদ্ধ জলের পরিবর্তে বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজস করে নিম্নমানের জল সরবরাহ করতেন এই দুই আধিকারিক।