গুজরাটের কং বিধায়কদের কর্ণাটকের 'সেফ শেল্টারে' আয়কর হানা, বাদ গেল না মন্ত্রী আবাসও
ওয়েব ডেস্ক: কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের শক্তিমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের বাড়িতে সিআরপিএফকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। 'বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে' গুজরাটের যে ৪২ বিধায়ককে আমেদাবাদ থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসে কর্ণাটকের 'ইগলেটন রিসর্টে'র 'সেফ শেল্টারে' রাখা হয়েছে তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব রয়েছেন এই ডিকে শিবকুমারই। ফলে গোটা ঘটনাকে বিরোধীদের প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারি ক্ষমতার উদ্যেশ্য প্রণোদিত ও অপব্যবহার হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিন বাঘেলার কংগ্রেস ত্যাগের পরেই দল ছেড়েছেন আরও পাঁচ কং বিধায়ক। দলত্যাগীদের মধ্যে তিন জন সরাসরি বিজেপিতে যোগদানও সেরে ফেলেছেন। পরিষদীয় দলে তৈরি হয়েছে আরও ভাঙনের সম্ভবনা। এই আবহে রাজ্যসভা নির্বাচনে গুজরাট বিধানসভা থেকে কংগ্রেস সাংসদ তথা সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলকে জিতিয়ে নিয়ে আসা এখন সোনিয়া-রাহুলের কাছে রীতিমত প্রেস্টিজ ফাইট। আর তাই যাতে বিজেপি আর দল ভাঙাতে না পারে তাই ইতিমধ্যেই কয়েকজন 'অতি নির্ভরযোগ্য' কংগ্রেস বিধায়ককে বাদ দিয়ে বাকিদের কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকের 'সেফ শেল্টারে' রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। এছাড়া, কংগ্রেসের অভিযোগ এই বিধায়কদের 'কিনে নিতে' ১৫কোটি টাকার প্রলোভনও দেখাচ্ছে বিজেপি।
তাই এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের যে কংগ্রেস নেতা অর্থাত্ ডিকে শিবকুমারের উপর গুজরাটের বিধায়কদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেই আচমকা সিআরপিএফ সহ আয়কর হানা নিঃসন্দেহে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির 'আনফেয়ার গেম' বলে মনে করছে বিরোধী শিবির। উল্লেখ্য, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু প্রসাদ যাদবের মতো একাধিক নেতারা দাবি করেছেন যে বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করতেই বেজেপির এমন কৌশল। এক্ষেত্রে লালু পরিবারের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি তদন্ত এবং সারদা-নারদের মতো ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে 'ডিসটার্ব করার' অভিযোগ সামনে এনেছেন তাঁরা। এবার ডিকে শিবকুমারের বাড়ি এবং 'ইগলেটন রিসর্টে' আয়কর হানা বিরোধীদের সেই অভিযোগকেই পুনরায় মান্যতা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।