হারের দায় নিয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দুষলেন রাহুল

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই দলের হৃত জনভিত্তি পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের `যুবরাজ`। বুন্দেলখণ্ডের অনুন্নয়ন নিয়ে আন্দোলন, দলিত মহল্লায় রাত্রিবাস, ভাট্টা পারসোল-সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ--কিছুই বাদ দেননি। শেষ পর্যন্ত কিন্তু সোনিয়া-তনয়কে শূন্য হাতেই ফিরিয়েছে হিন্দি বলয়ের হৃদয়পুর।

Updated By: Mar 6, 2012, 04:48 PM IST

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই দলের হৃত জনভিত্তি পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের `যুবরাজ`। বুন্দেলখণ্ডের অনুন্নয়ন নিয়ে আন্দোলন, দলিত মহল্লায় রাত্রিবাস, ভাট্টা পারসোল-সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ--কিছুই বাদ দেননি। শেষ পর্যন্ত কিন্তু সোনিয়া-তনয়কে শূন্য হাতেই ফিরিয়েছে হিন্দি বলয়ের হৃদয়পুর। অবশ্য কংগ্রেসী রাজনীতির ঐতিহ্য মেনে ইতিমধ্যেই তাঁকে আড়াল করার চেষ্টাও শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে। লখনউতে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী রীতা বহুগুণা যোশী বলেছেন, "রাহুল গান্ধী কেবল প্রচারকের ভূমিকায় ছিলেন। ভোটের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি আমরা, প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। তাই দলের পরাজয়ের সমস্ত দায়িত্ব আমাদের"।
কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের তৈরি করা এই ঠুনকো রক্ষাকবচের আড়ালে আশ্রয় না-খুঁজে এদিন ব্যতিক্রমী স্বচ্ছতার পরিচয় দিলেন আমেঠির কংগ্রেস সাংসদ। দিল্লিতে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের ভারডুবির দায়িত্ব সরাসরি নিজের কাঁধে নিলেন তিনি। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে চমকপ্রদ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানালেন সমাজবাদী পার্টির নতুন প্রজন্মের নেতা অখিলেশ যাদবকে। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের নির্বাচনী বিপর্যয়ের পিছনে `সাংগঠনিক দুর্বলতা` যে অন্যতম প্রধান কারণ, সে কথা উঠে এসেছে কংগ্রেসের নবীন প্রজন্মের নেতার জবানিতে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের জনতাকে দেওয়া পূর্ব-প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, এই হারে পিছু না-হঠে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যে ভাবে রাজ্য জুড়ে সমাজবাদী ঝড়ের মুখে আমেথি, রায়বরেলি, সুলতানপুরের মত কংগ্রেসি দুর্গগুলির পতন হয়েছে তাতে কোনওভাবেই নিজের নির্বাচনী রণকৌশল বা নেতৃত্বের ব্যর্থতা আড়াল করা যাবে না বুঝেই এদিন হারের দায়ভাগ নিজের কাঁধে নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। মায়াবতী সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য যে উত্তরপ্রদেশের জনতা সমাজবাদী পার্টিকেই উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে
বেছে নিয়েছে এদিন সে কথাও খোলাখুলি কবুল করেছেন তিনি।

.