আদালত অবমাননা মামলায় ‘সুপ্রিম সতর্কবার্তা’ পেয়েই অব্যাহতি মিলল রাহুল গান্ধীর
রাফাল দুর্নীতি মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে গত এপ্রিলে রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়েও প্রমাণিত হল চৌকিদার চোর
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘চৌকিদার চোর’ মন্তব্যে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘সতর্ক’ করেই অব্যাহতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানায়, রাহুল গান্ধীর নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করেছে আদালত। তবে, এ ধরনের মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকা উচিত তাঁর।
উল্লেখ্য, রাফাল দুর্নীতি মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে গত এপ্রিলে রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়েও প্রমাণিত হল চৌকিদার চোর। প্রসঙ্গত, ফাঁস হয়ে যাওয়া রাফাল নথিকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে খতিয়ে দেখার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই নথিকে ‘চুরি’ এবং ‘ব্যক্তিগত হস্তান্তর’ বলে যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্র। লোকসভা নির্বাচন প্রাক্কালে অমেঠীর এক জনসভায় রাহুল এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
রাহুলের এই মন্তব্যে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। সে সময় হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেনে রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাঁর এই ব্যাখ্যায় খুশি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। মীনাক্ষী লেখির আইনজীবী মুকুল রোহতগি যথাযথ শাস্তি এবং জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার সওয়াল করেন।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল শবরীমালা বিতর্ক, মামলা গেল ৭ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে
উল্লেখ্য, আজ আদালত অবমাননা থেকে রাহুল গান্ধীকে যেমন নিষ্কৃতি দেওয়া হয়, তেমনই প্রধান বিচারপতির বেঞ্জ জানায় রাফাল দুর্নীতি মামলার পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন নেই। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রশান্ত ভূষণ, যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরির করা আবেদনের সারবত্তা নেই। এর ফলে সুপ্রিম রায়ে কেন্দ্র যে স্বভাবতই স্বস্তিতে এ কথা বলা বাহুল্য।