অবনী হত্যাকাণ্ডে গান্ধীর ‘অস্ত্রে’ বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের

সোমবার, অবনী হত্যার সমালোচনা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টুইটে দাগেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ দিন টুইটে অনবদ্য কৌশল নিলেন তিনি। কেন্দ্রের নাম না করে শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধীর একটি মন্তব্য উল্লেখ করেন। সঙ্গে হ্যাস্ ট্যাগ অবনী।

Updated By: Nov 5, 2018, 02:29 PM IST
অবনী হত্যাকাণ্ডে গান্ধীর ‘অস্ত্রে’ বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগে না আনতে পারলে অবনীকে হত্যা করার নির্দেশ ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি কি বাগে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল? তাকে ‘খাচায় বন্দি’ করতে হায়দরাবাদের বিতর্কিত শ্যুটারকে কেন নিয়োগ করা হল? সূর্য ডুবতেই চূড়ান্ত অপারেশন কেন চালালো বন দফতর? প্রশ্নের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের সাফ উত্তর, প্রথমে বন্দি করার চেষ্টা চলেছিল। কিন্তু আত্মরক্ষার তাগিদেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই জবাবে চিড়ে ভিজেনি আম-জনতার। ফায়দা তুলতে ব্যস্ত বিরোধীরাও।

আরও পড়ুন- টার্গেটে আরএসএস, আমীরশাহিতে বসে পঞ্জাবে সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছে খালিস্তানি জঙ্গিরা!

সোমবার, অবনী হত্যার সমালোচনা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টুইটে দাগেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ দিন টুইটে অনবদ্য কৌশল নিলেন তিনি। কেন্দ্রের নাম না করে শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধীর একটি মন্তব্য উল্লেখ করেন। সঙ্গে হ্যাস্ ট্যাগ অবনী। কী লেখেন রাহুল? গান্ধীজির সেই জনপ্রিয় উক্তি-  পশুদের প্রতি আচরণই বলে দেয় সে দেশ কতটা মহানুভব।

রাহুলের তির যে মহরাষ্ট্রের বিজেপি সরকার তথা কেন্দ্রকে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। গত কাল মোদী সরকারের মন্ত্রী মেনকা গান্ধীও অবনী হত্যার তীব্র সমালোচনা করেন। যার পরেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। মেনকা দাবি করেন, এটি বর্বরোচিত হত্যার সামিল। মেনকার এই অভিযোগে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। সে রাজ্যের বন দফতর মন্ত্রী সুধীর মুঙ্গানতিওয়ার বলেন, ‘মানুষ খেকো বাঘ হওয়া সত্ত্বেও তিনি যদি মনে করেন তাকে হত্যা করা অনুচিত, তা হলে আগে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’

আরও পড়ুন- সুপ্রিম নির্দেশ সত্ত্বে হয়নি ঋণখেলপিদের তালিকা প্রকাশ, উর্জিতকে কারণ দর্শানোর নোটিস তথ্য কমিশনের

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পেশাদার শ্যুটার দিয়ে হত্যা করা হয় অবনী (টি১) নামে ওই স্ত্রী বাঘকে। ‘অপরাধ’ ছিল দুই বছরে ১৩ জনের প্রাণ নিয়েছে সে। অবনীকে হত্যার করার নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বন্যপ্রাণ প্রেমীরা। কিন্তু শীর্ষ আদালতের বিচারপতি লকুর জানিয়ে দেন, বাঘকে শান্ত এবং বাগে আনার চেষ্টা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। তা সফল না হলে হত্যা করা উচিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে। সূর্য ডোবার পর অবনীকে হত্যা করা বেআইনি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

.