ন্যাশনাল হেরাল্ড ইস্যুতে আজ পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজিরা দেবেন রাহুল-সোনিয়া
হাইভোল্টেজ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা। তা নিয়ে শুধু রাজধানীই নয়, সরগরম গোটা দেশ। তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এমনই সে কেস, যা আদালতে টেনে আনল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর মতো ভিভিআইপিদেরও। ঠিক কী নিয়ে মামলা? বিতর্ক কিসের? একনজরে তাই দেখে নেওয়া যাক।
ওয়েব ডেস্ক: হাইভোল্টেজ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা। তা নিয়ে শুধু রাজধানীই নয়, সরগরম গোটা দেশ। তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এমনই সে কেস, যা আদালতে টেনে আনল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর মতো ভিভিআইপিদেরও। ঠিক কী নিয়ে মামলা? বিতর্ক কিসের? একনজরে তাই দেখে নেওয়া যাক।
১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাতে প্রতিষ্ঠা ন্যাশনাল হেরাল্ডের। একসময় অর্থাভাবে সংস্থা চালাতে পারছিল না ন্যাশনাল হেরাল্ড কর্তৃপক্ষ। সেসময় কংগ্রেসের পার্টি ফান্ড থেকে নব্বই কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এর পরেও অর্থাভাব না কাটায় ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড মাত্র পঞ্চাশ লক্ষ টাকায় সংবাদপত্র কিনে নেয়। দুহাজার আট সালে এই ঘটনা ঘটে। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিংহভাগ শেয়ার গান্ধী পরিবারের। সোনিয়া, রাহুলের বিরুদ্ধেই উঠেছে এই কাগজের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ।
এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ২০১৪ সালের অগাস্টে সোনিয়া ও রাহুলকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সশরীরে হাজিরার ওপর প্রাথমিক স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট । কিন্তু গত ৭ ডিসেম্বর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের। দিল্লি হাইকোর্টেই খারিজ হয়ে যায় তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে না হওয়ার আর্জি। কর ও সুদ মকুব করে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। সোনিয়া-রাহুল কিম্বা বাকিরা কোনওভাবেই হাজিরা এড়াতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
মামলা ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা চলছেই। এনিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও দায়ী করেন রাহুল গান্ধী। তবে যত বিতর্কই চলুক, কংগ্রেসকে কাঁটার মতোই বিঁধে রয়েছে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা।