Punjab assembly polls 2022: বাংলার পর পাঞ্জাবেও পিছোচ্ছে ভোট? নির্বাচন কমিশনকে আর্জি BJP-র
মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির পরে, বিজেপির তরফেও নির্বাচন কমিশনকে এই আর্জি জানান হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট নিয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল কোভিড বিধি মেনেই নির্বাচন হবে। কিন্তু এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের পুরভোট নিয়ে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্তে রাজ্যে নির্বাচন কমিশন জানায় যে বাংলায় পিছিয়ে যাচ্ছে পুরভোট। এই প্রেক্ষাপটে এবার আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছে সে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির পরে, বিজেপির তরফেও নির্বাচন কমিশনকে এই আর্জি জানান হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাসের জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য চাপ দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, "রাজ্যে গুরু রবিদাসজির অনুসারীদের যথেষ্ট জনসংখ্যা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ও আছে। যারা পাঞ্জাবের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশ।"
আরও পড়ুন, UP Assembly Polls 2022: ভোটে টিকিট দেয়নি দল, সদর দফতরের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা বিরোধী নেতার
সেখানে আরও বলা হয়েছে, “এই পবিত্র অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক ভক্তরা গুরুপর্ব উদযাপন করতে উত্তরপ্রদেশের বেনারসে যাবেন। তাই তাদের পক্ষে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে যে যাতে ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাহলে সেক্ষেত্রে পাঞ্জাবের এই ভোটাররা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।” পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দল পাঞ্জাব লোক কংগ্রেসও রাজ্যের নির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ করেছিল।
পিএলসি সাধারণ সম্পাদক কমল সাইনি নির্বাচন কমিশনকে চিঠিতে বলেছেন, "গুরু রবিদাস জয়ন্তীকে ঘিরে প্রতি বছর পাঞ্জাব থেকে কয়েক হাজার মানুষ বেনারসে যান। যেহেতু গুরু রবিদাস জয়ন্তীর দুই দিন আগে নির্বাচন নির্ধারিত হয়েছে, তাই অনেক ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে কারণ তারা বার্ষিক তীর্থযাত্রার জন্য বেনারসে থাকবে।"
পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন কমপক্ষে ছয় দিন স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। যদিও এখনও কমিশন এ বিষয় কিছু জানায়নি। ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা এবং ১০ মার্চ মাসে ভোট গণনা হওয়ার কথা।