অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড থাকলে কীভাবে বিজ্ঞাপন দিতে হবে প্রার্থীকে! জানাল কমিশন
আসন্ন বিহার নির্বাচন থেকেই এই গাইড লাইন প্রার্থীদের জন্য লাগু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। অতিমারির সময় বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন করার ব্যাপারে একাধিকবার আলোচনায় বসেছেন কমিশনের কর্তারা। সেইসব আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের মতামত ও পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে। আসন্ন বিহার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জন্য তৈরি করেছে বিশেষ কিছু গাইড লাইন। একই গাইড লাইন মেনে দেশের সব বিধানসভা ও উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত বলে জানিয়ে দিয়েছিল কমিশন। আর এবার ভোট প্রার্থীদের জন্যও গাইড লাইন প্রকাশ করল কমিশন। যদিও সেটা কোভিড পরিস্থিতির জন্য নয়।
কমিশন আগেই জানিয়েছিল, যে কোনও দলের নির্দিষ্ট ভোট প্রার্থীর আগে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে কি না তা এবার জানাতে হবে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে। এদিন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কমিশনে। সংসদীয় গণতন্ত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য কমিশন এই গাইড লাইন পালন করার নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল প্রার্থীকে। এদিন কমিশন এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, কীভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটপ্রার্থী বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে! ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীর আগে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে কি না, কোনো প্রার্থীর নামে বিচারাধীন মামলা থাকলে সেটি কোন পর্যায় রয়েছে তার উল্লেখ করতে হবে সেই বিজ্ঞাপনে।
তিনটি ধাপ দিতে হবে এই বিজ্ঞাপন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর প্রথম চারদিন দিতে হবে বিজ্ঞাপন। দ্বিতীয় ধাপে বিজ্ঞাপন দিতে হবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর পঞ্চম থেকে অষ্টম দিন পর্যন্ত। আর তৃতীয় তথা শেষ দফার বিজ্ঞাপন দিতে হবে নবম দিন থেকে প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবত্ থাকবে। ভোটারদের সামনে প্রার্থীর ভাবমূর্তি আরও স্পষ্ট করে তুলতেই কমিশনের এমন পদক্ষেপ। আসন্ন বিহার নির্বাচন থেকেই এই গাইড লাইন প্রার্থীদের জন্য লাগু হবে বলে জানা যাচ্ছে।