জেলে বসেই মোবাইলে চলে সাট্টার নিয়ন্ত্রণ, জি নিউজ রাজস্থানের স্টিং অপারেশনে জয়পুরের ঝালাবাড় জেল

Updated By: May 15, 2015, 11:16 AM IST
জেলে বসেই মোবাইলে চলে সাট্টার নিয়ন্ত্রণ, জি নিউজ রাজস্থানের স্টিং অপারেশনে জয়পুরের ঝালাবাড় জেল

জেলের পাঁচিলটা বড্ড উঁচু। কিন্তু সে পাঁচিলে কী-ই বা আসে যায়। যদি সব সুযোগ সুবিধা হাতের মুঠোয় এসে যায় মূল ফটক দিয়েই। জয়পুরের ঝালাবাড় জেলের ছবিটা ঠিক এইরকমই। জি নিউজ রাজস্থানের স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছে চাঞ্চল্যকর তেমনই ছবি।

কিছু টাকা দিলেই জেলবন্দিদের হাতে পৌছে যাচ্ছে আধুনিক জীবনের সব সুযোগ সুবিধাই। জেলে বসেই অপরাধমূলক কাজ করে চলেছে বন্দিরা। দীর্ঘদিন ধরে বারেবারেই শিরোনামে জয়পুরের ঝালাবাড় জেল। প্রতিবারই ভুল কারণে। কখনও ছুরি মারামারি, কখনও বিচারাধীন বন্দিদের কাছ থেকে আধিকারিকের নির্দেশে তোলা আদায়, তো কখনও কয়েদিদের হাতে মোবাইলের হদিস। কিন্তু এতদিন এসবই তো কানো শোনা যেত। এবার জি রাজস্থান নিউজের সৌজন্যে  চাক্ষুস হল সেই ছবি।

ঝালাবাড় জেলে সব কয়েদির হাতেই মোবাইল। এই ফোনেই ঠিক হয় খেলার ম্যাচের ভাগ্য। সাদা আর লাল টি শার্টে এই দুই বন্দির কথা অনুযায়ীই  চলছে সাট্টার রমরমা কারবার। কয়েক হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার চলে এভাবেই। শুধু মোবাইলের মাধ্যমেই। এমনি এমনি এই কারবার চলে না। তারজন্য জেল কর্তৃপক্ষকে অনেক কিছুই দিতে হয়। তাই এভাবে সাট্টার কারবার চলে অবাধেই। পাঁচশো টাকা, হ্যাঁ মাত্র পাঁচশো টাকা দিলে জেল কর্তৃপক্ষই কয়েদিদের হাতে মোবাইল পৌছে দিয়ে যায়।

বাইরে থেকে কেউ জেলের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে এলে মোবাইল নিজের কাছে রেখে দেন খোদ জেলার। পরে আবার ফেরতও দিয়ে দেন। জেলে বাইরের খাবার হোক কিম্বা মদ, সবই পাওয়া যায় গারদের ওপারে। শুধু  সঠিক মূল্য দিলেই হল। বলছে বন্দিরাই।

মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলারই যদি এই ছবি হয়, তবে রাজ্যের অন্যান্য জেলের ছবিটা কেমন হবে ভেবে আঁতকে উঠতে হয়।

 

.