Presidential Election: সংঘাত এখন অতীত! বুধবার মমতার ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস?
দেশের ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও আরও যেসব নেতার কাছে মমতা চিঠি গিয়েছে তাদের মধ্য়ে রয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব, ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, এইচডি দেবগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা
জ্যোতির্ময় কর্মকার: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের একজোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রচেষ্টায় একধাপ এগিয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী।
আগামিকাল দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে দেশের ২২ বিরোধী নেতাকে এক বৈঠকে আমন্ত্রণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আমন্ত্রণ করা হয়েছিল সোনিয়া গান্ধীকেও। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল, মমতার ওই বৈঠকে কি যোগ দেবে কংগ্রেস? কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে খবর, গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে সম্ভবত যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস। করোনা পরবর্তী সমস্যার কারণে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধীও ইডির হাজিরা নিয়ে ব্যস্ত। তবে কংগ্রেস সূত্রে খবর, মমতার ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে, জয়রাম রমেশ ও রণদীপ সুরজেওয়ালা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বৈঠকে কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার খবর কেন গুরুত্বপূর্ণ? গত কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘাত অনেকবারই প্রকাশ্য়ে এসেছে। গত বছর অক্টোবরে রাজ্যসভার শীত অধিবেশনে গোলমালের জেরে সাসপেন্ড করা হয় ডেরেক ওব্রায়েন-সহ একদল সাংসদকে। তালিকায় ছিলেন ৬ কংগ্রেস সাংসদও। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কংগ্রেস তৃণমূলের নাম নেয়নি। গত বছরই ডিসেম্বরে মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে এক সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্য়মে মমতা বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। মমতার সেই মন্তব্যের পর তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসে। ফলে জাতীয় রাজনীতিতে দুই দলের মধ্যে সমঝোতার রাস্তা প্রায় বিশবাঁও জলে চলে যায়। ফলে আগামিকাল মমতার বৈঠকে যদি কংগ্রেস নেতারা যোগ দেন তাহলে তা বিজেপি বিরোধী রাজনীতিতে খুবই বড় খবর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে দেশের ২২ অবিজেপি নেতাকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
আগামী ১৫ জুন ওইসব বিরোধী নেতাদের দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লির ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্য়ালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান।
দেশের ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও আরও যেসব নেতার কাছে মমতা চিঠি গিয়েছে তাদের মধ্য়ে রয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব, ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, এইচডি দেবগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, সুখবীর সিং বাদল।
আরও পড়ুন-Mamata On Presidential Election:রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা মমতার, ২২ অবিজেপি নেতাকে চিঠি