জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের

জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে তৈরি হল দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল 

Updated By: Aug 9, 2019, 09:31 PM IST
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের

নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে স্বাক্ষর করে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিলে রাষ্ট্রপতি সই করায় জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে তৈরি হল দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু-কাশ্মীরে থাকবে বিধানসভা। তবে লাদাখে থাকবে না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় পুলিস-প্রশাসন থাকবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে।

সংসদের উভয়কক্ষে পাশ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭০টি। আর বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছেন ৭০ জন সাংসদ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা হয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পেল লাদাখ। স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি করে আসছিলেন লাদাখবাসী। বিলটি পাশ হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাবে। জম্মু-কাশ্মীরে অবশ্য দিল্লির মতো থাকবে বিধানসভা। তবে পুলিসের উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না। 

এরইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ তোলার প্রস্তাবও সংসদে পাশ করিয়ে নিয়েছে শাসক দল। লোকসভা অমিত শাহ বলেছিলেন, 'রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে গিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। ৩৭০ ধারা বিলোপ ঠিক না ভুল সেটা ঠিক করবে ইতিহাস। তবে এনিয়ে আলোচনা হলে নরেন্দ্র মোদীকে মনে রাখবেন মানুষ।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, 'কাশ্মীরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে কারফিউ জারি করা হয়নি। পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয়, সে জন্য এটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।'

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন,'একটা পরিবার হিসেবে দেশের স্বার্থে একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়েছেন জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখের ভাই-বোনেরা। তাঁদের উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই ব্যবস্থাকেই তুলে দেওয়া হয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'দেশের অন্য রাজ্যে বাচ্চাদের শিক্ষার অধিকার আছে, কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের বাচ্চারা বঞ্চিত। দেশের অন্যত্র মহিলারা যে অধিকার পান, সেই অধিকার নেই কাশ্মীরি মহিলাদের। অন্য রাজ্যে সাফাই কর্মীদের জন্য সাফাই কর্মচারি আইন রয়েছে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের সাফাই কর্মীরা বঞ্চিত ছিলেন। দলিতদের উপরে অত্যাচার রোখার জন্য কঠোর আইন রয়েছে দেশে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে ছিল না। অন্য রাজ্যে সংখ্যালঘুদের জন্য সংখ্যালঘু আইন রয়েছে। কিন্তু এমনটা ছিল না কাশ্মীরে। পুলিস-প্রশাসনও বঞ্চিত হয়েছে।' 

আরও পড়ুন- অনুচ্ছেদ ৩৭০ আর নেই, নতুন কাশ্মীরের স্বপ্ন ফেরি মোদীর, জেনে নিন ২০টি পয়েন্টে

.